শুনেছিলাম জ্বীনরা নাকি মানুষের প্রেমেও পড়ে। এই কথাটি কতটা সত্য?
শৈশব থেকেই জ্বীনদের নিয়ে জানার কৌতূহল আমারা অস্থিমজ্জায় জড়িত। বিশেষকরে পরীদের ক্ষেত্রে আমার কৌতূহল আকাশচুম্বী 🤣🤣
যদিও জীনদের পানিফড়ায় আমি ঘোরতর অবিশ্বাসী,, কিন্তু শৈশবে দাদি-নানিদের সাথে প্রায় বৈদ্য বাড়িতে যেতাম পরীদের মধুমাখা কন্ঠ আর একটু আলতো ছোঁয়া পেতেই।অবশ্যই একবার মাথাব্যথার ভঙধরে এক পরীর মখমলিন হাতের দীর্ঘ ছোঁয়াও পেয়েছিলাম।শীতল হস্তদ্বয় যেন অন্তর আত্মাকে প্রশান্ত করে দেয় নিমিষেই 🤣🤣
আমিই শৈশবে আমার মায়ের কাছ থেকে প্রায় আমাদের বাড়ির পাশের এক ফুফুর গল্প শুনতাম।অসম্ভব সুন্দর এক তরুণী,জীনদের দস্তারবন্দী করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা। পরিশেষে বিবাহকার্য সম্পূর্ণ হয়েছে এক জীনের সাথে, ছেলেপুলে হয়ে নাকি এখন দিব্যি সংসার করে যাচ্ছে।মাঝেমধ্যে বাপের বাড়িতেও নাকি আসে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সাথে দেখা করতে।
এইতো মাথায় সম্ভব /অসম্ভবের কিচ্ছা ঘুরপাক খাচ্ছে।শৈশবের স্মৃতি গুলোর আদোও কোন ভিত্তি আছে কি??
প্রেম ও ভালোবাসার চূড়ান্ত ধাপ হলো যৌনাকাঙ্ক্ষা অর্থাৎ বিবাহ। পৃথিবীতে যৌনাকাঙ্ক্ষা না থাকলে মানুষের মাঝে কখনো প্রেম -ভালোবাসা সৃষ্টি হতো না,এটাই ধ্রুব সত্য কথা বৈকি।
আমরা জানি জীনেরা আগুনের তৈরি। তারা অদৃশ্যমান, এখন যদি তারা দৃশ্যমান রুপ ধারণ করতে পারে অর্থাৎ মানুষের অবয়ব ধারণ করতে পারে। তাহলে একজন জীন ও একজন মানুষের মধ্যে বৈবাহিক জীবন সম্ভব,অন্যথায় নয়।আর বৈবাহিক জীবন সম্ভব হলে তাদের মধ্যে অবশ্যই মানুষের প্রতি প্রেম-ভালোবাসা ও কাছে পাওয়ার আকাঙ্খা যৌক্তিক।
হাদিসের ভাষ্যকার,
মক্কার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি সুরাকা ইবনে যুশামের আকার ধারণ করে একজন জিন বদরযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
সুতরাং,, জীনদের ক্ষেত্রে মানুষের অবয়ব বা আকৃতি ধারণ সম্ভব। অর্থাৎ প্রেম -ভালোবাসা ও কাছে পাওয়ার আকাঙ্খা যৌক্তিক।
বিঃদ্রঃপ্রেমে পড়ার বৈধতা সত্য।