প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেলে তার সাথে কেমন সম্পর্ক রাখা দরকার বা কেমন ব্যবহার করা দরকার?
সাধারণত ভালোবাসার তীব্রতা কোন সংস্কার মানতে চায়না, হোক সেটা বাস্তবিক নাহোক ধর্মীয় অনুশাসন। ভালোবাসার মানুষকে সবসময় কাছে পাওয়ার তীব্র বাসনা আমার আপনার আছে বৈকি।ভালোবাসার দোরগোড়ায় মনস্তাত্ত্বিকতা সবসময় আবেগের শিকলে আবদ্ধ।আমারও মন চায় এখনো ঘন্টা ধরে আলাপচারিতায় মেতে উঠতে আমার সদ্য বিবাহিত প্রেমিকার সাথে। কিন্তু আমার মনস্তাত্ত্বিকতা বাস্তবতা ও ধর্মীয় অনুশাসনে আটকে যায়।
আমি যদি সত্যিকারে আমার ভালোবাসাকে ভালোবেসে থাকি,,তাহলে তার চোখের জল ঝরা কষ্ট কখনোই আমার কাম্য নয়।আমার ক্ষুদ্র খুনসুটি, দীর্ঘ আলাপচারিতা যদি তার সাংসারিক জীবনকে বিষিয়ে তোলে,স্বামী-স্ত্রী'র পারস্পরিক ধন্দে রুপ নেয়।তাহলে আমার সম্পর্ক এখানেই চুকিয়ে নেওয়া বাঞ্ছনীয় বলে মনে করছি। যদি আপনার ভালোবাসায় শুরু থেকে ভেজাল মেশানো থাকে,তার কষ্টে আপনি পুলকিত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার ব্যাপারে আলোচনায় আমি নিরব দর্শন বৈ কিছু নয়।
ব্যাক্তি জীবনের কল্যাণ বিবেচনায় ধর্মীয় অনুশাসন বাস্তবতা থেকে একধাপ এগিয়ে।
হজরত সাহল ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়াতে তার মুখ ও লজ্জাস্থানের হেফাজতের জামিনদার হবে; আমি তার বেহেশতের জামিনদার হব’(বোখারি-৭৬৫৮)।
আল কুরআনে আরও বলা হয়েছে, ‘(হে নবি!) মুমিন পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনমিত রাখে এবং পবিত্রতা রক্ষা করে চলে। এটাই তাদের জন্য পবিত্রতম পন্থা। নিশ্চয়ই তারা যাহা কিছুই করে, আল্লাহ তৎ সম্পর্কে পরিজ্ঞাত।’ (সুরা নুর: ৩০)
এছাড়াও পবিত্র কোরানে গায়রে মাহরাম ছাড়া সকল নারীদের সাথে আলাপচারিতায় নিষিদ্ধতা আছে।স্ত্রীদের কে তাদের নিজেদের স্বামীর জন্য হালাল করা হয়েছে আপনার জন্য নয়।সুতরাং ,অন্য জনের স্ত্রীর সাথে সুসম্পর্ক /কুসম্পর্ক উভয়ই আপনার জন্য হারাম।
বিঃদ্রঃ বাস্তবতা ও ধর্মীয় দিক বিবেচনয় বিবাহিত প্রেমিকার সাথে কোন রকমের সম্পর্ক ও আলাপচারিতার বৈধতা নেয়।
ধন্যবাদ,, 💌💌💌