কাউকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসলে কী অনুভূতি হয়?
বুঝলাম না,সামথিং সামথিং নাকি? হঠাৎ এই প্রশ্ন?
ভালোবাসা ভালোবাসাকে ভালোবাসে।কাউকে সত্যিকারে ভালোবাসলে আপনি সেসময় আপনা আপনি অনুভব করতে থাকবেন সত্যিকারের ভালোবাসার রঙ,রুপ,গন্ধ, স্পর্শ ইত্যাদি।
যুগের তালে তালে ভালোবাসারও রঙ-রুপ বদলে গেছে।মুদ্রণ যন্ত্রের প্রিন্ট কপির মতো ভালোবাসাও হার্ড-কপি,সফট-কপি এই দু-ভাগে বিভক্ত। কেউ ছুটোছুটি করে প্রেম করছে বাস্তবে,আর কেউ অনলাইনে (কাল্পনিক জগতে)। তাই ভালোবাসার অনুভূতি গুলোও তাল মিলিয়ে দু-ভাগে বিভক্ত।
বাস্তবের এই গোল-চত্বর পৃথিবীতে আমিও একবার প্রেমে পড়েছিলাম, বোধকরি সত্যিকারে ভালোবেসেছিলাম মেয়েটিকে,কিন্তু ধোঁয়াশার কাল্পনিক মায়া-জগতে আমার আর প্রেম করে উঠা হলো না😭
সময়ে অসময়ে মেয়েটিকে নিয়ে কল্পনার ইন্দ্রজাল বুনতাম, মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম থেকে চমকে উঠতাম। মাঝেমধ্যে ঘোরতর স্বপ্নের অতলে তলিয় যেতাম। সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা সবসময় মেয়ের বাড়ির আশপাশে অকারণেই বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি করতাম।পড়তে বসলে ক্লাস হোমওয়ার্কের পরিবর্তে খাতায় আঁকিবুঁকি করতাম শুধু শুধু মেয়ের নাম লিখতাম। যদিও প্রতিদিনের ক্লাস শুরু হতো ৮টায়,কিন্তু আমি হাজিরা হাঁকতাম সকাল ৭টায়।প্রায়ই ক্লাসের ফাস্ট-সেকেন্ড বয় ছিলাম কিন্তু মেয়ে যদি কখনও পড়া পারতোনা,, তখন আমিও তার সাথে সাথে ক্লাসের হাইবেঞ্চে দাঁড়িয়ে যেতাম। সেসময় দুজনেই তীব্র ভালোবাসা অনুভব করতাম। আর শিক্ষক যখন দুজনকে বেত্রাঘাত করতো তখন নিজেকে লাইলি-মজনু ভাবতাম।মনেহয় এটাই সত্যিকারের ভালোবাসা ছিলো, অনুভূতি গুলোও ছিলো রোমাঞ্চকর 💞
যদিও অনলাইনে কোন নারীর রঙ আদোও আমায় রাঙিয়ে দেয় নাই। তবুও পারিপার্শ্বিকতা আমায় অনেককিছু শিখিয়েছে বৈকি।
কারণে অকারণে ফোনের নোটিফিকেশন দেখা।অনলাইনে অন্যকোনো মেয়ের সাথে গোপনে ফষ্টিনষ্টি না করা,নিজের সর্বস্ব শেয়ার করা।অনলাইনে তার অনুপস্থিতি সর্বোচ্চ বিরাগ(দুঃখ) অনুভব করা।তার ব্যাথায় সত্যিকারের ব্যাতিত হওয়া।সময়ের ব্যবধানে মেসেজের রিপ্লাইয়ের প্রতিক্ষায় ক্ষান্ত হওয়া ইত্যাদি।অনলাইন জ্ঞানের অপরিপক্কতার জন্য এবিষয়ে ভালো ধারণা নেই 💞
বিঃদ্রঃ ভালোবাসার সত্যিকারের অনুভূতি জন্য অনলাইনে নয় বাস্তবে চুপিচুপি একটা প্রেম করে ফেলুন।ভালোবাসায় নগ্নতা অবশ্যই পরিত্যক্ত।আপনার ভালোবাসায় সততা না থাকলে সময়ের ব্যবধানে অনুভূতি গুলোও তিক্ত হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ,, 💌