প্রচলিত আছে অনলাইন অর্ডারে প্রোডাক্ট কোয়ালিটি ভালো হয় না। প্রথমবারের মতো এত বড় ইভেন্ট আয়োজনে আন্তরিকতা ও আয়োজনের কোন কমতি রাখেনি আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশ আমেরিকা। নাসাউ ক্রিকেট গ্রাউন্ড দেখলেই বোঝা যায় ক্রিকেটের প্রতি তাদের আগ্রহ ও ভালবাসার কথা। মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে ক্রিকেটের এই সহযোগী সদস্য এলাহী স্টেডিয়াম বানিয়ে চমকে দিয়েছে তাবৎ ক্রিকেট বিশ্বকে। ক্রিকেটের কল্যাণে আমেরিকার এই আগ্রহ ও ভালোবাসা অব্যাহত থাকুক প্রত্যাশা রাখছি।
শিরোনামের মূল আলোচনায় ফেরত আসি। যুগটা অনলাইনের। এখন মানুষ ঘরে বসে মোবাইলের এক ক্লিকেই জামাকাপড়, জুয়েলারি, খাদ্য, মেডিসিন থেকে শুরু করে যেকোন কিছু অর্ডার করে দেয় মুহূর্তেই। অনলাইনে ছবি দেখে প্রোডাক্ট কোয়ালিটি যাচাই করতে পারিনা বলে অনলাইন ক্রয়ের ভীতি রয়েছে আমার। কারণ, এই কথাও বাজারে প্রচলিত আছে অনলাইনের প্রোডাক্ট ভাল হয় না। সুযোগ পেলেই কিছু অসাধু সেলার ২ নাম্বার প্রোডাক্ট গছিয়ে দেয় ক্রেতাকে। ভাবছেন ধান ভানতে শিবেরগীত কেন? প্রাসঙ্গিকতা আছে আর সেটাই বলছি। আগেই বলেছি আয়োজনে কমতি রাখতে চায়নি আমেরিকা। সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি এই বিশ্বকাপের পিচ গুলো আনা হয়েছে ক্রিকেট মোড়ল অস্ট্রেলিয়া থেকে। আনার প্রক্রিয়াও ভীষন জটিল। প্রথমে জাহাজে করে এনে পরে বন্দর থেকে লড়ির মাধ্যমে পিচ গুলো প্রতিস্থাপন করা হয়েছে স্টেডিয়ামে।
আমার মনে হয়, ক্রিকেটের নবীন সারথি আমেরিকা সরল মনে বিশ্বাস করে অস্ট্রেলিয়ার কাছে অনলাইনেই অর্ডার করেছিল টি-২০ বিশ্বকাপ-২০২৪ এর পিচ গুলো। আর অস্ট্রেলিয়া কিছু লাভের আশায় বাংলাদেশী অসাধু ব্যবসায়ীদের মত গুনগত মানসম্মত অস্ট্রেলিয়ান মেলবোর্ন অথবা পার্থমার্কা পিচ ডেলিভারি না করে মিরপুরমার্কা পিচ ডেলিভারি করে দিয়েছে আমেরিকাকে।
এখন ক্যাশ অন ডেলিভারিও যদি হয় জাহাজে করে প্রোডাক্ট ফেরত নিতেও ডেলিভারি চার্জও অনেক হওয়ার কথা আর সবচেয়ে বড় কথা হাতে সময়ও নেই।
তবে এতে শাপে বর হয়েছে মায়ের দোয়া ক্রিকেট টিমের। যদিও গতকালের ম্যাচ তারা হেরে গিয়েছে অপ্রত্যাশিত ভাবেই। আমেরিকা নিজেরা এখনো ভালো খেলছে বলেই কোন অভিযোগ করছেনা বলে আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে। দেখা যাবে নিজেরা বাদ পড়ে গেলেই বিশ্ব ভোক্তা অধিদপ্তরে মামলা ঠুকে দেবে ক্রিকেট বিশ্বে নবীন হলেও বিশ্ব রাজনীতির মোড়ল আমেরিকা। কে জানে হয়তো স্যাংশনের কবলেও পড়তে পারে অস্ট্রেলিয়া!