পোস্টস

চিন্তা

জবাবদিহিতা

২৫ জুন ২০২৪

Arafat Mozumder

একটি দেশ বা রাষ্ট্র সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা জন্য সরকারি আমলা ও কর্মচারী কর্মকতাদের অংশগ্রহন অনস্বীকার্য।  রাষ্টের প্রশাসন যখন দুর্নীতিমুক্ত ভাবে পরিচালিত হয়। তখন রাষ্ট্রের জনগণ আনন্দ সহকারে রাষ্ট্রের উন্নায়ন কাজে অংশগ্রহণ করে। 

 

আসুন আমরা একটু ব্যাখ্যা করি: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে জাপান যখন নিজেদের কে শান্তির দেশ হিসাবে ঘোষণা করে এবং এই অঙ্গীকারবদ্ধ হয় তারা আর কোন যুদ্ধে জড়াবে না। শুধু নিজেদের দেশের উন্নায়ন ও প্রশাসন থাকবে দুর্নীতিমুক্ত এরপর আর পিছনে তাকানোর প্রয়োজন হয় নাই। যুদ্ধবাজ জাপানি জনগণ রুপান্তরিত হয়েছে, পৃথিবীর সবচেয়ে কর্মজীবি জাপানী জাতি। বেশীদিন আগের কথা নয়, শ্রীলঙ্কা থেকে যখন রাজাপাকসে পরিবার ক্ষমতা থেকে বিদায় হয়, তারপর আর শ্রীলঙ্কাকেও পিছনে তাকানোর প্রয়োজন হয় নাই। মুদ্রাস্ফীতি এখন শুন্যর কোঠায়, বেকারত্ব ও দিন দিন নিম্নমুখী পাশাপাশি মুজুরীর হার উদ্ধমুখী।

 

এখন ফিরে আসি: সরকারি সকল চাকরিজীবীদের প্রধান উদ্দেশ্য হলো, রাষ্ট্রের জনগণের সেবা করা। কিন্তু এই উদ্দেশ্য এখন প্রশ্নবিদ্ধ কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য। দুর্নীতি নিয়ে কিছু বললে ওটা ও দুর্নীতি হবে। আমাদের জবাবদিহিতা ও সর্বনিম্ন স্তরে আছে। আর সেখানে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ আশাকরা দুষ্কর ব্যাপার। মানুষের যখন নৈতিকতা ও মুল্যবোধ ক্ষয় হয়ে যায়, তার কাছে থেকে পাওয়ার মত কিছুই থাকে না। শুধু অতিমাত্রায় বাড়তে থাকে দুর্নীতি সাথে সাথে জবাবদিহিতা ও হয়ে যায় দুষ্কর অধ্যায়।