মাটির ব্যংকে কত আধুলি-সিকি জমা করেছি
প্রয়োজনে তা ভেঙে জমা করা টাকা ছিনিয়ে নিয়েছি।
মাটির গড়া ব্যংক কষ্ট পেয়েছিল কিনা তখন বুঝিনি।
এখন বুঝি।
যেদিন তুমি আমার মনে তিল তিল করা আধুলি-সিকির মত স্মৃতি জমা করে তা না নিয়েই মন ভেঙে চলে গেলে
সেদিন মাটির তৈরী ব্যংকের চেয়েও নিজেকে অভাগা মনে হলো।
শুধু ব্যংক ভেঙেই ক্ষান্ত হইনি
আধুলি-শিখি যা দিয়েছিলাম তা নিয়ে নিয়েছিলাম
কিন্তু তুমি!
মনটাই শুধু ভাঙলে, কিন্তু জমানো স্মৃতি গুলো নিয়ে যাওনি।
বরং এলোমেলো করে ছড়িয়েছিটিয়ে সব খানে রেখে গিয়েছো।
মন ঠিক করবো না স্মৃতি গুছিয়ে রাখবো, তা ভাবতেই সবেধন নীল মণি প্রানটাও ওষ্ঠাগত।
তাও ভালো প্রানটা গেলে আর গুছিয়ে ওঠার তাড়া থাকবে না।
এই জায়গায় মাটির ব্যংক আর আমার মন এক সুতই বাধা।