অসময়ে তোমায় ডাক দিয়ে যাই
ঘাসফুলেরা অবাক চোখ মেলে চায়
মেঘ করলেই বেশ বৃষ্টির গান গায়।
আমি বৃষ্টিতে মেঘ দেখে
দোলনচাঁপার ঘ্রাণ মেখে
কাটা ঘুড়ির উড়ান দেখে
তোমার দিকেই যাই !
এমনি কোন এক দুপুরে
কিছু বেলী হাসনুহেনার ফুল ছিল পথ জুড়ে
দূর্বাঘাসে উড়ছিল ফড়িং
আর মেটে শালিকের ঝাঁক ক্রমেই
কষে যাচ্ছিল দু:খের আঁক।
আকাশে মেঘেরাও ছিল
হলুদ ফুলেরা ইশারায় বলেছিল
‘এ বেলা বাড়ী যাও; কপালে ঢের ..’
তবুও আমি ঘাড় ঘুরিয়ে দেখেছি
অদূরের হলুদ কাঠগোলাপ।
বেরসিক মেঘেরা তখনই নেমে এসেছিল ঝরঝরে
মুহূর্তে আমি চড়ুই ছানা
ডানা ঝাপটিয়ে ফেরাতে চাই বৃষ্টির ফোঁটা
ঝরা পাতারা সাবধান করেছিল
‘এ বেলা ঘরে ফের; কপালে বেশ...’
তবুও আমি হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দেখেছি উদ্দাম ঝড়
কেমন উথাল পাথাল বাতাসের ঢেউ
রূপালী বিজলী আলোর ছটা
শুকনো পাতার ওড়াউড়ি
দেবদারু গাছের নুয়ে যাওয়া
কাঠবিড়ালীর দৌড়ে যাওয়া
ইশারায় আমাকে বলেছিল
‘এ বেলা তড়া করো কপালে বুঝি...’
তবুও লোভীর মত চোখ রেখে দেখেছি তোমার চোখ ।
তোমার চোখে অন্য ছায়া
হিজল ফুলের জলজ মায়া
তোমায় ছুঁয়ে কাঁঠাল চাপা
তোমার বুকে বকুল ছোঁয়া
বটের ঝুরির চুলের মতো
তোমার মনে রঙীন ক্ষত।
অসময়ে তোমায় ডাক দিয়েছিলাম
আমার কী দোষ ছিল বল ?
পুরো বর্ষাকাল কদম ফুলেরা আমায়
উসকে দিয়ে বলেছিল
এ বেলায় যা বলার বলে ফেল পাগলী
কপালে তোর ঢের দু:খ আছে এমনি।।