চিড়িয়াখানায় গেছিলাম।
প্রথমে বানরের খাঁচা
এরপর বাঘের খাঁচা
তারপর জিরাফের খাঁচা
আবার বাঘের খাঁচা
হয়ে যখন বানরের খাঁচার
সামনে দাড়ালাম,
দেখলাম—
বানরগুলো সুখেই আছে
বন্দীত্ব মেনে নিয়ে,
ছুড়ে দেওয়া বাদাম, সিগারেট খাচ্ছে—
আর কিচিরমিচির করছে।
বুড়ো বাঘটা আর পায়চারি
করে না,
ঝুলে যাওয়া হোল বিছায়ে শুয়ে
থাকে ক্লান্ত ভঙ্গিতে—
এতই ক্লান্ত যে, ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা
তার হোলে হাত বুলায় দেয়,
যেনবা সান্ত্বনা দেয় বা টিটকিরি বা—
একদা বাঘের বিচি হাতানোর আনন্দ!
ওদিকে সদ্য ধরে আনা জোয়ান বাঘটার বিরাম নাই—
সে সারাক্ষণ পায়চারি করে,
লোকেরা তার খাঁচা থেকে দূরে থাকে।
এদিকে জিরাফের বেড়াটা বেশ উঁচু,
আসলে তারে খাঁচায়
আটকানো যায় নাই
তাই বেড়া!
তাতেও তার মাথা আটকানো
যায় না—
মাথা উঁচু করে সে তাকায় থাকে
দূরে—
যেদিকে তার বাড়ি!
ওদিকে মাদী হাতীটাকে
দেখতে যাওয়া হলো না—
সে নাকি এখনও তার মাহুতকে
মাথার উপর চড়তে দেয় না!
১৮/৬/২১
ছবিঃ ইন্টারনেট