বুকারজয়ী ভারতীয় লেখক অরুন্ধতী রায় জিতলেন পেন পিন্টার প্রাইজ। ১৪ বছর আগে কাশ্মীর সম্পর্কে মন্তব্য করার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষ লেখককে বিচার করার অনুমতি দেওয়ার দুই সপ্তাহ পরে তিনি এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
একজন ব্রিটিশ লেখক বা গ্রেট ব্রিটেনে বসবাসকারী একজন লেখককে প্রতিবছর এই পুরস্কারটি দেওয়া হয়। নোবেলজয়ী প্রয়াত ব্রিটিশ নাট্যকার হ্যারল্ড পিন্টারের স্মরণে ২০০৯ সালে ইংলিশ পেন এটি চালু করে। যেসব সাহিত্যিক নির্ভীক দৃষ্টিতে বিশ্বকে দেখেন, তাদের প্রতি সম্মান জানাতে এই পুরস্কারটি দেওয়া হয়। এর আগে সালমান রুশদি, চিমামান্ডা এনগোজি আদিচি এবং মার্গারেট অ্যাটউড এটি পেয়েছেন।
৬২ বছর বয়সী এই লেখককে স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের উজ্জ্বল কণ্ঠস্বর বলে উল্লেখ করেছেন পেন পিন্টার প্রাইজের অন্যতম বিচারক ব্রিটিশ অভিনেতা এবং অ্যাক্টিভিস্ট খালিদ আবদাল্লা।
অক্টোবর মাসে লন্ডনের ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অরুন্ধতী রায়ের হাতে এই পুরস্কারটি তুলে দেওয়া হবে। এই অনুষ্ঠানে তিনি ‘ইন্টারন্যাশনাল রাইটার অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড’ এর জন্য একজন লেখককে নির্বাচিত করবেন। যেসব লেখক নিজেদের বিশ্বাস অকপটে প্রকাশের জন্য নির্যাতনের শিকার হন, তাদেরকে ইন্টারন্যাশনাল রাইটার অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
ইন্টারন্যাশনাল রাইটার অব কারেজ অ্যাওয়ার্ডটি পেন পিন্টার প্রাইজের একটি অংশ। প্রতি বছরের পেন পিন্টার প্রাইজজয়ী লেখক বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নির্যাতিত কোনো একজন লেখককে এই অ্যাওয়ার্ডের জন্য বেছে নেন।
এদিকে পুরস্কার জয়ের প্রতিক্রয়ায় অরুন্ধতী রায় বলেছেন, ‘পেন পিন্টার পুরস্কার পেয়ে আমি আনন্দিত। আজ যদি হ্যারল্ড পিন্টার আমাদের সাথে থাকতেন, তাহলে বিশ্ব যে প্রায় ধারণাতীত মোড় নিচ্ছে সে সম্পর্কে লিখতে পারতেন। যেহেতু তিনি নেই, তাই আমাদের মধ্য থেকে কাউকে তার স্থান পূরণ করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।'
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে ‘দ্য গড অব স্মল থিংস’ উপন্যাসের জন্য বুকার প্রাইজ জিতেছিলেন অরুন্ধতী রায়। তিনিই প্রথম ভারতীয় নাগরিক যিনি সাহিত্যের মর্যাদাবান এই পুরস্কারটি পান। মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে পরিবেশগত অবক্ষয় পর্যন্ত বিভিন্ন ইস্যুতে সরব থাকেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো দ্য মিনিস্ট্রি অব আটমোস্ট হ্যাপিনেস, আজাদি, দ্য এন্ড অব ইমাজিনেশন।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, কিরকাস