কতোবার পিছিয়ে আসা যায়?
কতোবার মেলে ধরা যায় গৃহস্থ আচার?
ভাবতে ভাবতে পলাশ ফুরিয়ে যায়।
আমাকে পাখি ভাবতে পারো,
রোজ রোজ ঠোক্কর মারি ডানার গোড়ায়।
সেখান থেকে জন্ম নেয় যত্ন, আরাম, ভালোবাসা, ওম..
তারপর সেসব হিসেব বুঝিয়ে,
প্রত্যাখ্যান নিয়ে আমি ফিরে আসি ছাইভস্মের গাদায়।
সমস্ত নদীর দেহেই শীতকাল আসে।
এখন অনেক রাত।
ষোলোকলা চাঁদ জোছনা বমি করছে
পৃথিবীর সমস্ত আধখাওয়া মেয়েমানুষের ওপর। অথচ সম্পর্ক জড়িয়ে
দু'পা এগোলেই ভেঙে যাচ্ছে বিবাহযোগ্য বয়স।
সেখানে কোথাও কোনোও মন অবশিষ্ট নেই,
নেই কোনোও অলকানন্দা-কবি।
শাঁখা পলার রঙ ফিকে হতে হতে ধূমাবতী।
গা থেকে খসে যাচ্ছে গৃহস্থ শিকড়, কল্যাণীয় পাঠ।
অস্থি কলস নিয়ে যে মানুষটা এক কোমর জলে দাঁড়িয়ে
আশামন্ত্র উচ্চারণ করছে -
সে আমার জনক।
এরপরও সন্ধ্যে নেমে আসে তুলসীতলায়। তবু...
এমনও তো হতে পারে, এমনই তো হয়।
আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়?