Posts

চিন্তা

বাংলাদেশে ব্রাহমা জাতের গরু যে কারণে নিষিদ্ধ

July 3, 2024

লবেরু

229
View

২০২৪ সালের কোরবানী ইদ অন্যবারের ইদ থেকে আলাদা।  ব্রাহমা গরু ও উন্নত জাতের ছাগল এবারের ইদে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। ছাগলকান্ডে তো দেশ তোলপাড়। এই কান্ডে এক জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার চাকুরি পর্যন্ত হুমকির মুখে চলে যায়। যাইহোক আমরা এবার দেখব ব্রাহমা জাতের গরু কেন এ দেশে নিষিদ্ধ তার একটা আলোচনা।

ব্রাহমা গরু প্রজাতিটির উৎপত্তি ভারতে। যুক্তরাষ্ট্রে আরও দু-তিনটি জাতের সংমিশ্রণে ব্রাহমা গরুকে উন্নত করে। মাংসের জন্য ব্রাহমা গরু বিখ্যাত। অধিক মাংসের জন্য লালন-পালন করা হয়। আরো কিছু সুবিধা রয়েছে- এ জাতের গরু উচ্চ তাপমাত্রায় ভালো থাকে এরা, রোগবালাই কম, বাড়েও দ্রুত। কিন্তু গাভির দুধ উৎপাদনক্ষমতা খুবই কম। এই কারণেই বাংলাদেশে ব্রাহামা জাতের গরু আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ জাতের গরু বাংলাদেশে পালন ও উৎপাদন নিষিদ্ধ না হলেও ২০১৬ সালে এক নীতিমালা দিয়ে এই জাতটিকে আমদানি নিষিদ্ধের তালিকায় রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ থেকে ফ্রিজিয়ান গরুর সংকর হোলস্টেইন জাত আমদানি করে থাকে। এই প্রজাতির গাভি দিনে ৬ থেকে ৩০ লিটার পর্যন্ত দুধ দেয়। আর এই জাতের ষাঁড়ের ওজন ৮০০ থেকে ১ হাজার কেজি। অন্যদিকে ব্রাহামা প্রজাতির ষাঁড়ের ওজন ১ হাজার ৪০০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রতিদিন দেড় কেজি পর্যন্ত এই গরুর ওজন বাড়ে। কিন্তু সমস্যাটা হলো ব্রাহামা প্রজাতির গাভি দিনে তিন-চার লিটারের বেশি দুধ দেয় না।

ব্রাহমা জাতের গরু তার আকৃতি অনুযায়ী বেশি দুধ দেয় না। যতটা দুধ দেয়, তাতে শুধু বাছুরের চাহিদাটুকু মেটে। খামারিরা অধিক মুনাফার আশায় যদি ব্যাপক হারে ব্রাহমা উৎপাদন করে তাহলে দেশে গরুর দুধের উৎপাদন কমে যাবে। মূলত বাংলাদেশে দুগ্ধ উৎপাদন খাতকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্যই বেসরকারি পর্যায়ে এ জাতের গরু আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তবে মাংসের দাম বৃদ্ধির কারণে ব্রাহমা জাতীয় গরু দেশে পালনের কথা দিন থেকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Comments

    Please login to post comment. Login