পোস্টস

গল্প

ফোরটোয়ে‌ন্টির ইভ‌টি‌জিং

৪ জুলাই ২০২৪

প্রদীপ হালদার

অ‌টো‌রিকশাটায় উ‌ঠেই আ‌রিয়া‌নের মনটা আন‌ন্দে ভ‌রে গেল, চোখদু‌টি জু‌ড়ি‌য়ে গেল। কারণ তার পা‌শেই এক রূপ‌সি বসা! তার দি‌কে দুবার তা‌কি‌য়েই আ‌রিয়ান বলে ফেলল, আপনার গন্তব্য কোথায়?
মেয়েটা বলল, ইন্দুরকানী।
আ‌রিয়ান মু‌খে কিছুটা হা‌সি ফু‌টি‌য়ে বলল, আমাদের দুজ‌নেরই দেখ‌ছি একই গন্তব্য।‌
মে‌য়ে‌টা কিছুটা বিরক্তির সু‌রে বলল, এখান থে‌কে সবাই ইন্দুরকানীই যায়!
মেয়ে‌টার কথায় আ‌রিয়ান ভড়‌কে গেল। মু‌খের উপর খুব কম মে‌য়ে‌ এরকম মে‌রে দেয়। আ‌রিয়ান ভা‌লো করে তার দি‌কে তাকাল। তখন পু‌রোপু‌রি চম‌কে উঠল, এ যে নুসরাত, তার স্কু‌লের ক্লাস‌ফ্রেন্ড! অ‌নেক বছর পর দেখা। তাছাড়া আ‌গের চে‌য়ে ন‌ুসরা‌তের স্বাস্থ্য ভা‌লো হ‌য়ে‌ছে। তাই প্রথ‌মেই চিন‌তে পারে‌নি।
আ‌রিয়ান চিন্তা করল, নুসরা‌তকে এখনই প‌রিচয় দে‌বে না। চরম মাত্রার মজা করার পর প‌রিচয় দে‌বে! সে মে‌য়ে‌টার দি‌কে একট‌ু ঝুঁ‌কে বলল, তা সুন্দরী! আপ‌নি ইন্দুরকানীর কোথায় যা‌চ্ছেন?
আ‌রিয়া‌নের কথায় মে‌য়ে‌টার চো‌খে আগুন জ্ব‌লে উঠল। সে রে‌গে বলল, কী বল‌লি তুই!
- আপ‌নি সুন্দরী সেটাই বললাম। মিথ্যা তো আর ব‌লি‌নি!
- আর একটাও বা‌জে কথা বল‌বি না।
- ঠিক আ‌ছে বা‌জে কথা আর বলব না। এ‌সো, মি‌ষ্টি মধুর প্রে‌মের আলাপ ক‌রি!
আ‌রিয়া‌নের কথা শু‌নে মে‌য়ে‌টি চেঁচা‌মে‌চি শুরু করল। আ‌রিয়ান তার ডানহাতটা আল‌তোভা‌বে ধ‌রে বলল, এত রা‌গে না হে সুন্দরী!
এবার মে‌য়ে‌টা চিৎকার দিল। অ‌টো‌রিকশা থে‌মে গেল। লোকজন জম‌তে দে‌খে আ‌রিয়ান বলল, দেখ নুসরাত, আ‌মি আ‌রিয়ান। তোমার ক্লাস‌ফ্রেন্ড। তোমার সা‌থে একটু মজা ক‌রে‌ছি।
সে বলল, আ‌মার নাম নুসরাত না, আ‌মি আ‌রিয়ান নামে কাউ‌কে চি‌নিও না!
আ‌রিয়ান তবুও বোঝা‌নোর চেষ্টা করল, কিন্তু কো‌নো কাজ হ‌লো না। ইভ‌টি‌জিং‌য়ের অপরা‌ধে গণ‌ধোলাই খে‌য়ে সে বেহুঁশ হ‌য়ে গেল। সাত‌দিন হাসপাতা‌লের বিছানায় কাটা‌তে হ‌লো। বে‌শি চালাকি করে ধরা খে‌য়ে নি‌জেকে ধিক্কার দিল।