পোস্টস

নন ফিকশন

ধর্ম-কর্মের জন্য বিনিময় দেওয়া নেওয়া উভয়ই হারাম

৪ জুলাই ২০২৪

MUHAMMAD AL-HELAL

হজরত ঈসা (আ.)-এর আবাসস্থল প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আমি তাঁদের উভয়কে (ঈসা ও মরিয়মকে) এক উচ্চভূমি প্রদান করেছিলাম যা সুজলা ও বাসযোগ্য ছিল।’ (সুরা আল মুমিনুন: ৫০) এই উচ্চভূমি হলো ফিলিস্তিন। তিনি ফিলিস্তিনে উৎপন্ন ফল-মূল খেয়ে বড় হয়েছেন। তিনি ঘুরে ঘুরে অলিতে গলিতে দীনের দাওয়াতি কাজ করতেন। যেখানে রাত হতো সেখানে খেয়ে না খেয়ে নিদ্রা যেতেন। তিনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতেন।

আমাদের বিশ্বনবি হজরত মুহাম্মদ (স.) ছিলেন একজন সফল ও সৎ ব্যবসায়ী। তিনি ইরশাদ করেছেন, সৎ ও আমানতদার ব্যবসায়ীদের হাশর হবে নবী, সিদ্দিক ও শহীদদের সাথে। (আদদুরুরুল মানসুর ষষ্ঠ খণ্ড পৃষ্ঠা-২২০)

তিনি গৃহের কাজ নিজ হাতে করতেন। বকরির দুধ দোহন করতেন। নিজের জুতা ও কাপড় সেলাই ও ধোলাই করতেন, গৃহে ঝাড়– দিতেন। মসজিদে নববী নির্মাণকালে শ্রমিকের মতো কাজ করেছেন। খন্দকের যুদ্ধে মাটি কেটেছেন। বাজার থেকে প্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করতেন। তিনি ইরশাদ করেন, জমিনের অভ্যন্তরে তথা চাষাবাদ, খনন ও রোপণের মাধ্যমে রিজিক অনুসন্ধান করো।

রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘এমন কোনো নবী নেই যিনি ছাগল চরাননি। জনৈক সাহাবি প্রশ্ন করেন, হে আল্লাহর রাসুল আপনিও কি ছাগল চরিয়েছেন? প্রত্যুত্তরে রাসূল (স.) বলেন- হ্যাঁ, আমিও মক্কায় অর্থের বিনিময়ে ছাগল চরিয়েছি। বলাবাহুল্য, মহানবী (স.)-এর সাহাবিগণ অনেকেই ব্যবসায় করতেন। বিশেষ করে মুহাজিরগণ ছিলেন ব্যবসায়ী আর আনসারগণ ছিলেন কৃষক। 

সুতরাং আযান দেয়া, ইমামতি করা, ওয়াজ করার মতো আল্লাহর ইবাদতের জন্য আর বিনিময় নয়। এধরনের বিনিময় স্বয়ং আল্লাহর কাছে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নবী-রাসুলদের জীবনী থেকে শিক্ষা নেওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমফিল গবেষক (এবিডি)
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়