পোস্টস

গল্প

একটু প্রেম ২

৫ জুলাই ২০২৪

মোহাম্মদ সাকিব (সাকু মিয়া)

মূল লেখক সাকু মিঞা

শিতকাল কনকনে শিত আমি সেই পুরনো অভ্যাসের কারনে রাতের বেলা হাটতে বেরিয়েছি যদিও আমার শরিরে শিতের আভাস টা পৌছছে না!


 

রাত ৩ টা বেযে ১১ মিনিট শীতকাল হিসেবে অনেক ভয়ংকর সময় চারিদিকে কুয়াশা আর আমার আশেপাশে ৬-৭ টা কুকুর এবং বিড়াল প্রথমে অবশ্য ১টা বিড়াল ছিলো পরে বারতে বারতে ৬-৭ টা হয়ে গেছে যেখান দিয়েই যাই কুকুর বেরাল সাথে চলে আসে। এরা মানুষকে বুঝে তাই হয়তো চাচ্ছে আমার যেনো কোনো বিপদ না হয় তাই এগিয়ে দিচ্ছে হয়তো। আমরা মানুষরা কতটা নিচু এদেরকেই কতো মারধর করি। সেযাই হোক আমি তো করিনা।


 

দূরে থেকে কি যেনো আলো আসছে হয়তো কোনো গাড়ি হবে!!।


 

আমার হাতে যদিও চায়ের ফ্ল্যাক্স পানির মতো করে খাচ্ছি ওইজে পুরনো অভ্যাস কাপ রাখা সম্ভব হয়না তাই শুধু ফ্লাক্সে করেই চা রাখি আর খাই। গাড়িটা কাছেই থামলো পুলিশের গাড়ি। গাড়ি থেকে ২ জন নামলো।


 

কিরে এতরাতে রাস্তায় কি করছিস? চোর ছেচ্ছর নাকি?


 

আমাকেই বলছে আমি ছাড়া তো আর কেউ নেই আশেপাশে।


 

আবারো হুংকার আসলো এ্যাই ব্যটা কথা বলছিস না কেনো?


 

জি আজ্ঞে না আমি অন্তর।


 

এই পাশেই একটা মেসে থাকি। এতো রাতে এখানে কি করছিস নিশ্চয়ই কোনো খারাপ মতলব এই বলে আমাকে গাড়িতে উঠালো।


 

আমি আর কী করবো বাধ্য অনুগতদের মতো উটবে পরলাম। আমার দেখাদেখি কুকুর বিড়ালগুলাও উঠতে শুরু করলো ওরা অবশ্য লাঠি দিয়ে তারানো চেষ্টা করছিলো কিন্তু লাভ হয়নি ওরা উলটা কামর দেওয়া আরম্ভ করছিলো তখন আমি ওদের মাথায় হাত দিয়ে আদর করে বললাম থাক আমি এসে তোদের খাবার দিয়ে যাচ্ছি এখানে থাক তোরা। এরপর সব কুকুর এবং বিড়াল চলে গেলো। থানায় বসে আছি। এ নতুন কিছুনা এই নিয়ে ২২ বার। একজন পুলিশ অবশ্য বলছে আরে এই লোক তো পাগল রাস্তায় একা একা হেটে বেরায় দেখছেন না পানির মতো করে সাথে চা রাখছে। এগুলা শোনার পরে যদিও লাঠিচার্জ করলো এরপর ছেরেছে। আসার আগে দারোগাকে বললাম আপনি তো আনোয়ার দারোগা তাইতো? সে উত্তর দিলো হ্যা তো কি হিয়েছে?


 

আপনার তো কয়েকদিনের মধেই প্রোমোশন হবে এরপর বদলি হতে হয়ে একদম বাজে অবস্থা হয়ে যাবে। এরপর দারোগা ঝাড়ি দিয়ে পাঠিয়ে দিলো বললো ফাও আলাপ বাদ দিয়া বাসায় যা! আমি অবশ্য চলে এলাম কিন্তু কয়েকদিন পর আমাকে বাসা থেকেই থানায় নিয়ে যাওয়া হলো আমি বললাম আমার অপরাধ? অসি সাহেব বললেন আমায় চিনেছো আকি বললাম হ্যা সেইদিনের আনোয়ার সাহেব। হ্যা ঠিক ধরেছো তোমার কথা তো একদম সত্যি হলো। কিন্তু বললে যে বদলি হবে এগুলা থেকে কিভাবে বাচা যায় বলো আমার মনে হয় তুমি কোনো অসাধারন ব্যক্তি।


 

আমি বললাম দেখুন আমি একজন অতি সাধারন লোক আমার কাছে মনে হয়েছে এরকম তাই বলেছি এখন বাকিগুলা সত্যি হবেকিনা জানিনা আন্দাজে বলেছি কাজেই এতো প্রুফুল্য হওয়ার কিছুই নেই। এই বলে চলে আসলাম। আসলে আমি আন্দজে বললেও এরকম অনেকবার হয়েছে যা বলছি সঠিক ছিলো। কিন্তু কাউকে শুনাইনি।


 

এখন অবশ্য মনে হচ্ছে আমার বিয়ে নাসরিনের সাথেই হবে এবং খুব শিঘ্রই হবে।