কুকুরের ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা নেই,
বিড়াল কখনো ভাবে না, "অমুকটা না করলে আজ জীবনটা হয়তো তমুক রকম হলেও হতে পারত!"
বানর তার ভবিষ্যৎ নিয়ে তর্কে মাতে না, মাছেরা ভাবে না তাদের কানকোগুলো আরেকটু চওড়া হলে কেমন হতো! কিন্তু মানুষ ভাবে।
একমাত্র মানুষই হাইপোথেটিক্যালি নিজের অতীত আর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে পারে আবার মানুষ হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের দুইটা অস্তিত্ব আছে; একটা শারীরিক, আরেকটা মানসিক। আমরা জানি যে জৈবিক কারণে আমাদের শরীর একদিন মরে যাবে আর তাই আমাদের মানসিক অস্তিত্ব আমাদের প্ররোচিত করে এমন কিছু করতে যা দৈহিক মৃত্যুর পরও অন্যদের স্মৃতিতে আমাদের বাঁচিয়ে রাখবে আর একারণেই লোকে নিজের নামে বিল্ডিং, ভাস্কর্য বানায়, বই লেখে, নিজের ধারণা আর অর্জিত জ্ঞানকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে দিয়ে যেতে চায়। জিনিসটাকে বলে ‘ইমরটালিটি প্রজেক্ট’ ভাল করে একবার ভেবে দেখুন, আমাদের আজকের এই সভ্যতা আদতে আমাদের পূর্ব পুরুষদের ইমরটালিটি প্রজেক্টেরই ফসল। মৃত্যু চিন্তা মাথায় রেখে যদি আপনি আপনার জীবন বোধগুলো নির্বাচন করেন তাহলেই জীবন সার্থক হয়ে উঠে কারণ আপনি যখন সচেতনভাবে স্বীকার করেন যে অবশেষে একদিন আপনাকে মরতেই হবে, তখন জাগতিক অনেক তথাকথিত "মহা মূল্যবান" আর "না হলে চলবেই না" টাইপ জিনিসগুলো আপনার কাছে বেশ তুচ্ছ মনে হবে এবং জীবনে আপনি অর্থবোধক কিছু করে যাবার অনুপ্রেরণা আর তাগিদ পাবেন।