পোস্টস

পোস্ট

সন্তানকে সঠিক পথে রাখতে

৬ জুলাই ২০২৪

Madhab Debnath

সন্তানকে সঠিক পথে রাখতে পিতা মাতার অন্যতম কাজ হলো সন্তানকে সময় দেওয়া. আপনার ছেলেকে লেটেস্ট আইফোন কিনে দিলে সে নতুন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখবে নাকি পর্ণ দেখবে, নাকি জঙ্গির সাথে যোগাযোগ করবে সেটা কন্ট্রোল করা প্রায় অসম্ভব। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গেলে কার সাথে মিশবে, কার দ্বারা ইনফ্লুয়েন্সড হবে সেটাও নিয়ন্ত্রণ করা সহজ না। তবে একটু খেয়াল করলেই বুঝা যাবে- ছেলে পকেট মানি দিয়ে বই কিনতেছে নাকি ইয়াবা খাচ্ছে। রাতে বাসায় না ফিরে বন্ধুর বাসায় গিয়ে ক্লাস প্রজেক্ট করছে নাকি রাতভর মদের পার্টি করতেছে। গাড়ি নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে নাকি বন্ধু - বান্ধবীদের নিয়ে লং ড্রাইভে যাচ্ছে। সন্তান বড় হলে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা যায় না। ১০০% নজরদারিও করা যায় না। তবে চাইলে বড় হওয়ার আগেই মূল্যবোধ, সচেতনতা, মানবিকতা, পারস্পরিকতার বীজ দিয়ে দেয়া যায়। বিপথে যাওয়ার ইঙ্গিত পেলে, মমতা দিয়ে সঠিক পথে ফিরে আনাও যায়।

তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে- যাদের অর্থ সামর্থ্য থাকে, তাদের সময় থাকে না। বিজনেসের টাফ, টাফ মিটিং করতে করতে টায়ার্ড হয়ে বাসায় ফিরলে, সন্তানের রুমে উঁকি দেয়ার আগ্রহ জাগে না। খাবার টেবিলেও কথা বলার মতো স্পৃহা থাকে না। বাবা-মা, সন্তানেরা যার যার মতো বাইরে খেয়ে আসলে, এক সাথে খাবার টেবিলে বসার দরকারও পড়ে না। এক বাসায় থাকলেও তিন-চারদিনে কথা বলাও হয়ে উঠে না। অভাবের তাড়নায় জিতু তৈরি হয় না। তাই পারিবারিক বিচ্ছিন্নতাকে একেবারেই উপেক্ষা করা যাবে না।

খুব বেশি না। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট সময় দেন। সন্তানের সাথে গল্প করেন, কথা বলেন। তার বন্ধুদের বাসায় দাওয়াত করেন। একটা সখ্যতা গড়ে তুললে- সন্তান কোন লাইনে আছে, কোন দিকে যাচ্ছে, কোন স্পেশাল কেয়ার লাগবে না, সেটা অনেক আগেই টের পাবেন। নচেৎ নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে থাকতে একদিন আপনার সন্তান, বিপথে চলে যাবে আর আপনার প্রিয় সন্তানের প্রতি কোটি মানুষের ঘৃণা নিয়ে আপনাকে বেঁচে থাকতে হবে।