আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থার অধীনে যে কয়টা পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, সেগুলোর মধ্যে পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি এগুলো অন্যতম।
এছাড়াও আরও কিছু পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে, যেমনঃ সেমিস্টার ফাইনাল, চাকুরির পরীক্ষা, বিসিএস, ইত্যাদি ইত্যাদি। কোনো এক প্রতিষ্ঠানের অধীনে।
একজন শিক্ষার্থীকে যথাযথ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য যে পরীক্ষাগুলো বোর্ড কতৃক নেওয়া হয় সেগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা, এই পরীক্ষা গুলোকে যতোই আপনি গৌণ করে দ্যাখেন না কেন, যারা এই পরীক্ষাগুলির আসনে বসে তাদের ফেটে যায়।
বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে বিস্তারিত জানা না থাকলেও অন্তত এটা জানা আছে যে এই পাবলিক পরীক্ষাগুলি থেকে বিসিএস এর গুরুত্ব কখনোই বেশি হতে পারে না।
চাকুরি জীবনে প্রমোশন বা উচ্চপদস্থ সরকারি চাকরির জন্য দিয়ে থাকে বিসিএস। তবে বিসিএস-রে এতো আমলে নিয়ে যারা পড়াশোনা করতেছেন তাদের এই কর্মঠতা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাই বলে তো আমি পাবলিক পরীক্ষার চেয়ে বিসিএসরে আগায়ে রাখতে পারি না।
বিসিএস এর প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে সোস্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে অলি-গলি, আড্ডা, চায়ের দোকান মোটামুটি সব জায়গা সরগরম। কারণ, কেউ যদি প্রশ্ন ফাঁস করে পরীক্ষা দিয়ে ভালো চাকরি পায় সেটা কেউ মেনে নিতে চায় না বা পারে না। এটা অন্যায়!
তবে কি পাবলিক পরীক্ষাগুলির প্রশ্ন ফাঁস হলে সেটা অন্যায় হয় না?
আমি তো জানি পাবলিক পরীক্ষাগুলিতে মোটামুটি প্রতিবছরই প্রশ্ন ফাঁস হয়। তখন কারো মাথায় ঘাম ঝরে না।
এটা দুঃখজনক। প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের চুরি করতে দিলে সে পরবর্তীতে চুরি করবে এটাই স্বাভাবিক। সে আরও সুবিধা নিবে। সে চাইবে এভাবে সুবিধা নিয়েই তার লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে।
বিসিএসরে ফাও গুরুত্ব দিয়ে একদম বেহেশতের টিকিট পাওয়ার মতো ব্যাপার করে ফেলছে গাণ্ডুরা।
বিসিএস-এর এই অতি-গুরুত্ব শিক্ষার্থীদের জন্য খারাপ কিছুই নিয়ে আসে।
যেমনটা বিগত বছরগুলোতে দ্যাখে আসছি সকলেই।
বুয়েটে ভর্তি হয়ে দ্বিতীয়, তৃতীয়, শেষ বর্ষে গিয়ে তারা বিসিএস দিয়ে বুয়েটের ডিগ্রি শেষ না করেই চলে যাচ্ছে।
খামাখা তাহলে ঐ ছেলেটা বুয়েটে একটা সিট নষ্ট করলো, একটা সম্ভাবনা নষ্ট করলো!
অবশ্যই সে তার যোগ্যতা অনুযায়ী সিট পেয়েছে, কিন্তু তার এই সাব্জেটে ইন্টারেস্ট না থাকলে কেন ভর্তি হইতে গেলো!
এই ঝঞ্জাটের শেষ নেই।