পোস্টস

কবিতা

তবে চিঠি দিও

৯ জুলাই ২০২৪

অনিরুদ্ধ রনি

তারপর...
শালুক ফোটা কোনো এক পূর্ণিমার রাতে নিজেরে মুক্ত করে দেবো সব পিছুটান থেকে।
আমারে খুঁজবে কি না, জানি নে; কতটুকু ভালোবেসেছিলে, তার হিসেব-নিকেশ করিনে। শুধু জেনে নিও–আমার উপন্যাসের প্রারম্ভে যারে নিয়ে ভেবেছিলেম, কল্পনার চিত্রপটে কলমের কালিতে কিংবা উৎকর্ষ হয়ে উপসংহারে শুধু তুমিই ছিলে।

উত্তরে হ্যামারফেস্ট থেকে দক্ষিণে পুয়েটো উইলিয়াম পর্যন্ত বোহেমিয়ান হয়ে ঘুরেছি; তবু তোমারে ভুলে থাকা হয়নি। আমার কবিতার খাতায় ধুলো জমেছে তোমার স্পর্শ পায়নি বলে। আজ কতকাল তোমারে ভেবে লেখা হয় না কিছু; কলমের কালিতে যেন বিষাদ মিশে যায়–বড্ড আলসেমি লাগে। বোধন বাঁশিতে সুর তুলে, ভায়োলিনের সুরের মূর্ছনায় আমি তোমারে শুনি শুধু; হয়তো ডেকে চলেছো আমায়।

এসবই মিথ্যে হয়ে যায়, তুমি নেই বলে। চার্চের শোকসভায় ক্রুশবিদ্ধ যিশুর সামনে ওরা মাথানত করে যখন, তখন দু'চোখ তোমার প্রতীক্ষায় জ্বলজ্বল করে ওঠে। 
গুরুদুয়ারায় ছুটতে থাকা ওই গেরুয়া পাগড়িতে বন্ধুত্ব থাকে কি না, জানিনে। শুধু জেনেছি, যে বিশ্বাস নিয়ে ওরা ভক্তি জানায়, তার চেয়েও প্রবল বিশ্বাস করেছিলেম তোমায়। অনিকেত প্রান্তরে দাঁড়িয়ে বিলাপ বাদে আর বাকি রইলো কি!
তুমি আমার আক্ষেপ হয়ে থেকে যাবে কোনো এক পুনর্জন্ম পর্যন্ত। 
সাগরপাড়ে বসে শেষ বিকেলের সূর্যাস্ত কিংবা নরম বালুতে পা গলিয়ে ভোরের সূর্যোদয় দেখার আনন্দানুভূতি আমার কখনো পাওয়া হবে না, জানি। শুধু শেষান্তে আমারে নিয়ে যদি এতটকু ভেবে থাকো, তবে চিঠি দিও!