আমাদের দেখা হয় না বোধ করি কতকাল!
ওই এক ভুতুড়ে জ্বরের রাতে স্টেশন চত্বরে শেষ দেখা,
আমরা পার্কের বেঞ্চিতে বসে শেষবারের মতো গল্প করেছিলাম।
তোমার খোঁপায় শোভিত সেদিনের বেলি ফুলে বোধহয় একটু বেশি মায়াময় গন্ধ ছিলো!
আচ্ছা, এখনো কি বেলি ফুল তোমার প্রিয়?
এখনো কি আমায় মনে পড়ে?
এরপর কেটে গেছে কতদিন!
আবার এক জ্বর আর মন খারাপের দিনে মনে পড়ছে তোমায়–
ভীষণ মনে পড়ছে।
মনে আছে–
অলক্ষ্যে চলে যাওয়ার শেষকাল পর্যন্ত আমি ওই পথ চেয়ে থাকতাম!
বলতে, 'এই তো আছি; আবার দেখা হচ্ছে'
আমার মন খারাপ হয়নি তখনো।
এমনই একদিনে বুঝেছিলেম, এরপর কেন যেন ভালোবাসার দাবি থাকবে না–
না, আজ আর কোনো দাবি নেই।
আক্ষেপে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার মতো এক বেদনা আছে,
যার গল্পে হয়তো লেখা হয়ে যায় আস্ত এক উপন্যাস।
শুনেছিলাম, প্রিয় বস্তু পেতে খাটুনি লাগে,
খাটুনি ছিলো না বলেই 'প্রিয়' হয়েও প্রিয়জনকে পাইনি আজ।
অবজ্ঞার সুর যে আমারে বুঝিয়েছিলো, কতটা ভালোবাসো আমায়!
হয়তো তা ভাগ্যে ছিলো না।
হয়তো ভাগ্যে ছিলো না।
শেষ বিকেলের রক্তাভ সূর্যে জমে থাকা বিদ্রোহে–
কিংবা ভোরের শিউলিমালায় জড়ানো আলতো প্রেমে–
তুমি আমার কবিতা...
ভালো থেকো, ভালোবাসি প্রিয় নবনীতা!