রাত বারোটা বেজে পঞ্চাশ মিনিট।
ঠিক মাঝরাত নয়, তিলোত্তমা ঢাকায় বোধহয় মাত্র রাত হয়েছে!
কয়েকদিন প্রচন্ড গরমের পরে গতকাল সকালের বৃষ্টিতে আবহাওয়া একটুখানি শীতলতা লাভ করেছে, প্রকৃতি সতেজতা লাভ করেছে।
১.
দূরে কোথাও কুকুরের দুখের কান্না শোনা যায় বুঝি। জীবনের সাধ-আহ্লাদ পূরণে আজ নিজেকে রোবোটিক এক কুকুর মনে হয়। জানি, কুকুরের সাথে মানুষের তুলনা দেওয়া পাপ। কিন্তু, না দিয়ে পারলাম কই!
মানুষ হয়ে কুকুরের মতো বিশ্বস্ত হতে নেই বোধহয়। ওতে প্রতি পাতে লাথ খেতে হয়। যতই ভালো থাকতে চাইবেন, জীবনে ততটা দুঃখ নামবে। জীবন বিলিয়ে কারো বিশ্বস্ততা অর্জন করতে চাওয়া টা নেহায়েত বোকামি বৈকি!
নিজের সবটা দিয়েও মানুষের ভালো করতে নেই। ওতে মনুষ্য জাতি মনে করে, ওর কাছ থেকে পেয়েছি সবই। কিন্তু, প্রভুর আসনে এখনো বসা হয়নি। তাই আরো ছড়ি ঘুরাতে হবে।
২.
যে সময়টা চলে যায়, সেটাই ভালো কাটে বোধহয়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রচুর পড়াশোনা, ঘুরাঘুরি, আড্ডা সবই হবে; এসবেরই স্বপ্ন দেখেছিলাম। তা আর হয় কই!
আমি স্রষ্টার প্রতি অকৃতজ্ঞ না। কিন্তু, 'দূরের কাশবন ঘন দেখা'র মতো হয়তো কেউ কেউ কেউ মনে করলো, ওর জীবনে দুঃখ-কষ্ট কিছু নেই। কিন্তু, দিন গেলে আমি বুঝলাম, জীবন মূলত একা, ভীষণ একা; হয়তো তার কল্পনার চেয়েও একা। জীবনের দৌড়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়ে উপায় নেই; যেভাবেই হোক, রেসে জিততেই হবে। কিন্তু, হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন তো হেরে গেলেন!