পোস্টস

কবিতা

আরো তিনটি কবিতা

৯ জুলাই ২০২৪

এমদাদুল

মূল লেখক এমদাদুল

১.
শীতের শুরুতে, তখনো চারিদিক কুয়াশাচ্ছন্ন নয়।
কেবল শিশির জমতে শুরু করেছে আটি গ্রামে।
দাড়িপারার জলাধার, সকালের প্রথম প্রহরে
সূর্যালোকে জ্বল জ্বল করে পৃষ্ঠ। আর
জমে থাকে গাঢ় কুয়াশা তারপর
সূর্য তাপ বাড়তে থাকলে, বয়ে যায়, ধীরে বয়ে যায়;
পুকুর জলে ততটুকু তাপ শোষিত হলে
যতটুকুতে কুয়াশা বাষ্প হয়ে যেতে পারে,
এমন তাপমাত্রায় উবে যাওয়া ব্যতিরেকে
সকল কুয়াশা সমূহ, শীতলে যায়
পুকুর পাড়েই, ঘন গাছ, শীতল অঞ্চল,
নিজেদের রক্ষা করে, পলায়ন করে।

২.
আমি প্রতিদিন কলাতিয়া যেতে চাই
কলাতিয়া যেতে আধ ঘণ্টা সময় লাগে
হয়তো আরো কম; একটাই কালো পিচ পথ
ভালো লাগে কলাতিয়া বাজার
ভালো লাগে, ওবায়দুল সরকার বিশ্বমানের পুরি বানায়
আমি বাজার ঘুরে বেড়াই, কতোকি খাই
কিন্তু প্রতিদিন কলাতিয়া যাবার উদ্দেশ্য একটাই
আমার প্রকৃত ভালো লাগে কালো পিচ পথ
অতিশয় ভালো লাগে যানবাহন গতি
একবার চালু হলে চলতে থাকে,
সরল পথ, সমান গতি বজায় রেখে
ছুটে চলে বেবিটেক্সি; আমি গতি পাই।
তাই প্রতিদিন কলাতিয়া যেতে চাই।

৩.
প্রায় নয় দিন হলে, ঘর ঝাড় দেই না
প্রতিদিন একই কাপড় পরে থাকি গোসলের পরে
বস্ত্র শরীরের অংশ হয়ে গেছে,
মেঝে কাদা-মাটি-নোংড়া; এসময়ের বাস্তবতা
মাথা ধরে আছে বিরতিহীন; মগজে ঝট ভীষণ
ধূসর শালিক দেওয়ালে কি একটা বলছে আমাকে
ওকে আগে কখনো দেখিনি আটি গ্রামে
আমি শুয়ে থাকি, শক্তি খুঁজি, খুঁজি অসম
পাখি সমূহ আজ প্রায় ঘিরে রয়েছে আমাকে
এমনটাই চেয়েছিলাম কোন এক দিন,
সারাদিন বিশ্রাম করবো, সকালে ভাত খাব
সস্তা হোটেলে, বুট ডাল, আলু ভর্তা মেখে
সারাদিন শুয়ে কাটাবো অক্লান্ত।
লোকে এসব শুনলে, বলবে 
বলবে, নিশ্চই সি-জো-ফ্রেনিয়া।