লেখার শুরুতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানের সাথে স্মরণ করছি, তাদের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের ত্যাগই আজকে আমাদের স্বাধীন জাতিতে পরিণত করেছে। বাংলাদেশের আয়তন সমীত, কিন্তু জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি হচ্ছে, স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর একটা অংশ চাকরি বাজারে প্রত্যক বছর প্রবেশ করার জন্য উন্মুখ। কিন্তু চাকরি বাজার সীমিত।
মার্ক জাকারবার্গ ৩০ বছর বয়সে পৃথিবীর শীর্ষ ধনীর তালিকায়। আমাদের তরুণদের বিশাল অংশ ৩০ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরির প্রস্তুতি জন্য নিজের সবকিছু বিসর্জন দিচ্ছে। যা জন্য আমাদের সামাজিক ব্যবস্থাই বেশি অংশ দায়ী।
নিজের জীবনে শ্রেষ্ঠ সময় যখন সরকারির চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছে, আর একটা সময়ে যখন সে দেখে দেশের চাকরির বাজারের ৫৬ শতাংশ বিভিন্ন কৌঠায় সংরক্ষিত। টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন বিক্রি, নিয়োগ। তখন নিজের মধ্যে হতাশা ক্ষোভ ছাড়া বেশি কিছু থাকে না।
বর্তমান বিশ্বের মুক্তবাজার ব্যবস্থায়, সরকারের উচিত দেশের সরকারি চাকরির ৫ শতাংশ কোটা ব্যবস্থার মধ্যে রেখে, বাকী সবটাই মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ব্যবস্থা করা। যেখানে রাষ্ট্র পাবে মেধাবী আমলাদের যারা কুটনীতিতে বাংলাদেশকে আরও কয়েকধাপ সামনে অগ্রসর করবে। মেধাবীর হওয়ার কারণে কোন নীতি বহিরে কাজ করতে বিবেকে বাধবে। যার ফলাফল হবে রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে উঠবে সুন্দর, সুখী দেশ।