পাপ বলে আসলে কিছু নেই। চতুর মানুষেরা তাদের প্রয়োজনে তাদের অভিধানে পাপ, ন্যায়, অন্যায় ইত্যাদি শব্দগুলি যোগ করেছে। বেঁচে থাকার তাগিদে উপায়ান্তর না দেখে মানুষ বাধ্য হয়ে অন্যায় বা পাপ করে। তার চাহিদা পূরণ করে দিলে সে কখনও অন্যায় করতো না। ঈশ্বর তার চাহিদা পূরণ করতে পারেন না বলেই মানুষ অন্যায় করে। এ অন্যায়ের জন্য দায়ী স্বয়ং ঈশ্বর নিজেই। কেননা ধর্মীয় ঈশ্বর যদি সত্যি জন্ম দিয়ে থাকেন তিনি জীবন ধারনের কোন উপকরণই মানুষকে দেননি। মানুষ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্থ উপার্জন করে সেই অর্থ দিয়ে প্রয়োজনীয় উপকরণ কিনে আনে। এতে ঈশ্বরের বিন্দুমাত্র কৃতিত্ব নেই। যখন অর্থ থাকে না তখন অনৈতিক পন্থায় অর্থ যোগাড় করে যাকে অন্যায় বা পাপ বলা হয়ে থাকে। সবজান্তা ঈশ্বর কেন জানতেন না যে এই মানুষের এই জিনিসটি এই সময়ে প্রয়োজন ছিল? জেনে থাকলে তা তাকে সরবরাহ করেননি কেন? তিনি তো তা করেনই না উপরন্তু সেই ক্ষুধার্ত মানুষটির হাত কেটে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ভাত দেয়ার মুরোদ নাই, কিল মারার গোঁসাই।