বৃষ্টি আসে, সবুজ ঘাসে সজীবতা জাগাতে
বৃষ্টি আসে, অসাড়তা দূর করে মুগ্ধতা জাগাতে
বৃষ্টি আসে, কবির মনে কাব্য হয়ে
বৃষ্টি আসে, শান্তির পরশ নিয়ে
বৃষ্টি আসে, রিমঝিম নৃত্যে ঢেও খেলতে
পাগলা সাধুর কল্পনায় ভর করতে
বৃষ্টি আসে, প্রিয়তমার চোখে চোখ রেখে ভিজতে
বৃষ্টি আসে, খোলা আকাশের নিচে
কৃষকের গান শুনতে, প্রশান্তির গান!
কত উতপ্ত দিন পার করে আজ চামড়াগুলো শান্তির পরশ পাই!!
তপ্ত রোদে অতিষ্ঠ মন, চোখ বন্ধ করে ঘুমাতে
আহা! কি শান্তি! কি শান্তির ঘুম!
কিন্তুু বৃষ্টি তুমি আস, আমার শহরে এ কি হয়ে?!
বৃষ্টি আসে, আমার শহরে খেয়ার মাঝি হয়ে
নৌকা দুলে, নৌকা চলে, সাইরেন বাজে পরাপর
সাইরেনের সুরে,বিরক্ত চিত্তে;আমি যে ডুবি তলে!
অতল তলে ডুবিয়াছি আমি, ফিরে আসার নেই তো উপায়!
কেমন করে জানি, সাধু সন্ন্যাসীর দোয়ায়, আঙুলখানি শুধু ভেসে যায়!
পানির মাঝে, আঙুলের নৃত্য ; কেমন যে করে হায়!
খোদার দয়ায়, আপন ভোলা মাঝির চোখটি ঐদিকেতে যায়!
জীবনটা আজ বেচে গেল মোর মাঝি দৃষ্টি পেয়ে!
আর একটু হলে যেতাম আমি, মক্কা মদিনা পেয়ে।
পানির নিচে ভোগ করেছি নিয়ামত আমি শত!
তাহার শুকর না করিলে হই যে পশুর মত!
শুকর! শুকর! বলে আমি সংঙা হারা হয়!
এই তো আমার শহর! প্রাণের শহর!
ডাঃমোঃ তরিকুল ইসলাম
সহকারী রেজিস্ট্রার
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। তারিখঃ১০/১০/২৩