অন্যের কাছে কখনো কোন কিছু আশা করা একেবারে বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।
আমি কারো উপকার করেছি বলে, সে ও আমার উপকার করবে, এটা আশা করা ও বোকামি। এই বিষয়টি নির্ভর করে সে কতটুকু কৃতজ্ঞ! কারণ সে কখনো আমার ক্ষতি ও করতে পারে, এই বিষয়টি সব সময় আমাদের মাথায় রাখতে হবে। কারো জন্য কিছু করলে নি:স্বার্থ ভাবে করতে হবে। প্রতিদান পাবার প্রত্যাশা থাকলে অবশ্যই দু:খ পেতে হবে।
জীবনে ভালো থাকার জন্য খুব বেশি মানুষের প্রয়োজন নেই। প্রকৃত শুভাকাঙ্ক্ষী কিছু মানুষ থাকলেই যথেষ্ট। কেউ কেউ হয়তো সামনে আন্তরিকতা দেখায়, দূরে গিয়ে বদনাম করে। তাদের চেনা সহজ। তারা ওভার এক্টিং করে। স্বার্থ সিদ্ধি হয়ে গেলে সরে যায় কৌশলে।
সুখের জন্য কোনো আদর্শ সংজ্ঞা নেই। কারণ, সুখ এক ধরনের মানসিক অবস্থা। আজ আমরা যা যা পেয়ে নিজেকে সুখী মনে করছি, ভবিষ্যতে হয়তো সেই সব পেয়েও নিজেকে অসুখী ভাবতে পারি। খুব অল্পতে সন্তুষ্ট থাকা মানুষের সংখ্যাও চারপাশে কম। সুখী হওয়ার জন্য নিজের অপূর্ণতাগুলোকেও ভালোবাসতে শিখতে হবে। এই পৃথিবীতে কেউই পরিপূর্ণ নয়, কেউই পারফেক্ট নয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে চাওয়া পাওয়াগুলো এক সময় বদলে যায়। তাইতো কবি বলেছেন- এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তাঁর শ্রেষ্ঠ সময়।
এক জন বৃদ্ধ, শুধু সুস্থতা চায়। তরুণদের চাওয়া পাওয়া বেশি, মনের দ্বন্দ্ব বেশি, প্রতিযোগিতা বেশি, প্রত্যাশা বেশি। এ বিষয়গুলো আমাদের মনের অস্থিরতা তৈরি করে। চাওয়া পাওয়ার হিসাব কখনো মিলে না জীবনে।
সবার জন্য অনেক শুভকামনা।