চারগাছ এন আই ভূৃইয়া উচ্চ বিদ্যালয়। এটি কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের একটি স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ। বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় কর্মক্ষেত্রে এ বিদ্যালয়ের বহু শিক্ষার্থী সুনামের সাথে জীবন অতিবাহিত করছেন। কবি ও গবেষক ড. এস এম শাহনূর প্রণীত কসবা উপজেলার ইতিবৃত্ত থেকে জানা যায়, --চারগাছ এন আই ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম শুরুতে এডি উচ্চ বিদ্যালয় ছিল। শাশ্বত ত্রিপুরা পত্রিকার বরাত দিয়ে তিনি লিখেছেন, এই বিদ্যালয়ের সাথে একজন বিশেষ ব্যক্তির নাম জড়িত। যিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, স্বদেশী আন্দোলন, বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন, ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। কে তিনি? তিনি অবিভক্ত ভারতবর্ষে কুমিল্লার খ্যাতনামা রাজনীতিক কংগ্রেস নেতা অখিলচন্দ্র দত্ত। আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলাধীন চারগাছ গ্রামে তাঁর জন্ম। তিনি এক সময় ভারতীয় বিধান সভার স্পিকার ছিলেন।
বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কবি পরিবারের সাথে অখিলচন্দ্র দত্তের ছিল এক রসালো বন্ধন।
১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশ ভাগের পর তিনি ভারতে চলে যান। এর একবছর আগে বিপুল পরিমাণ জায়গা ও স্কুলটিকে এন আই ভূঁইয়া'র হাতে তুলে দেন। ৪৭ পরবর্তী সময়ে অর্থাভাবে স্কুলটি তার আগের গৌরব ও ঐতিহ্য হারাতে বসে। এভাবে বেশ কয়েক বছর যাওয়ার পর এন আই ভূঁইয়ার উপযুক্ত তত্ত্বাবধানে বিশেষত আর্থিক সহযোগিতার কারণে স্কুলটি তার হারালো গৌরব ও ঐতিহ্য ফিরে পায়। আলহাজ্ব নূরুল ইসলাম ভূঁইয়া ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী, শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক। তিনি ২৫ মে-১৯৬১ইং হতে ১৫ ডিসেম্বর-১৯৬২ইং পর্যন্ত চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৫ ইং সালে তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন। আলহাজ্ব নূরুল ইসলাম ভূঁইয়ার সার্বিক তত্ত্বাবধানে স্কুলটি তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাওয়ায় ১৯৬৩ সালে অখিল দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে চারগাছ এন আই ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয় রাখা হয়।