**কথা ও কাজের মূল্য**
স্থান, কাল, পাত্র ভেদে একই কথা ও কাজের মূল্য ও গুরুত্বের তারতম্য দেখা যায়। চলুন দেখি কীভাবে?
স্থান: কিছু কিছু কথা আছে যেগুলোর মূল্য ও গুরুত্ব স্থানের সাথে সম্পর্কিত। একই কথা বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকম মূল্য পায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- সালাতের কথা। ঘরে আদায় করলে এক রকম মূল্য। মসজিদে আদায় করলে আরেকটু বেশি মূল্য বা পূণ্যেরে কাজ। একই কথা ও অঙ্গভঙ্গির (আয়াত পাঠ ও অন্যান্য) মাধ্যমে তা বায়তুল মুকাদ্দাসে আদায় করলে আরো বেশি সওয়াবের। মদিনায় সালাত আদায় করলে আরো বেশি এবং বায়তুল্লায় আদায় করলে সবচেয়ে বেশি মূল্য বা সওয়াবের কথা বলা হয়েছে। কথা কিন্তু একই…
কাল: কাল বা সময়ের সাথেও কথার মূল্যের ভেদ লক্ষ করা যায়। খুবই সহজ উদাহরণ- একই কথা/বিষয়/পড়া মুখস্ত করাটা যদি পরীক্ষার আগে ও পরে হয় তাহলে তার মূল্য ১৮০ ডিগ্রি উল্টো হবে। আরো সহজে বললে বলা যায় যে, কারো বিয়ের দাওয়াত যদি বিয়ের ৩০ দিন আগে দেওয়া, ১৫ দিন আগে দেওয়া বা ৭দিন আগে দেওয়া এবং বিয়ের আগের দিন দেওয়া একই মূল্য ও গুরুত্ব বহন করেনা। দাওয়াত বা দাওয়াত পত্রের কথা কিন্তু একই…
পাত্র: পাত্র বলতে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বুঝানো হয়েছে। একই কথা বিভিন্ন স্তরের ও ধরণের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সমজাতীয় কিছু ব্যক্ত করে তাহলে কথার ভাবার্থ ভিন্ন হবে। জনাব ‘ক’ যদি বলে কাজটা ঠিক হয়নি তাহলে সেটার অর্থ খুবই নগণ্য হবে। যদি ক’য়ের দেশের সরকার প্রধান বলে তাহলে সেটা হয়তো ঐ দেশের বা অঞ্চলের জন্য একটা মূল্য দিবে। কিন্তু যদি মার্কিন রাষ্ট্রপতি বা নাসা’র প্রধান বিজ্ঞানী বলে তাহলে তার মূল্য ও গুরুত্ব কেবল ঔ অঞ্চল বা দেশের জন্যই না, গোটা বিশ্বের জন্য সেটি একটি বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কথা কিন্ত একই…