একদিকে ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর খবর অপরদিকে আমার দেশের মজলুম ভাইয়েদের মৃত্যুর খবর। অপরদিকে ইসমাইল হানিয়ার হত্যার প্রতিশোধের খবর। আবার যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি ইসরায়েলকে প্রতিশোধ নিতে উষ্কানি দেয়ার খবর। সেই সাথে হামাসের হুমকি, তুরস্কের হুমকি, হিজবুল্লাহর হুমকি, ইরানের হুমকি পশ্চিমাদের পালটা ধমকি, আবার এদিকে পৈশাচিক রক্ত বন্যা। অনিয়ম, গণহত্যা। কি হচ্ছে এসব। ঘুমাতে গেলেও স্বপ্নে সব ভেসে উঠছে। ধরণী কি আর কখনোও তার শান্তিতম রূপে ফিরে যাবে না? আমরা কি এক ফোটা শান্তিতে ঘুমুতে পারবোনা?
চোখ বন্ধ করলেই শুনি কারা যেনো চিৎকার করছে। ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা চিৎকার করে প্রান ভিক্ষা চাইছে।
ফিলিস্তিনের অসহায় মানুষের আর্তনাদে কান ভেসে যায়। হামাসের দলপ্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যার প্রতিশোধের ডাকের চিৎকার শুনে হৃদপিণ্ড কম্পন দিয়ে ওঠে ।
ইসরায়েলের নতুন যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে হুমকি স্বর কলিজায় চাপ প্রয়োগ করছে। দেশের অসহায় মানুষের বাচতে চাওয়ার আর্তনাদে চোখ ভেসে যাচ্ছে। সেই সাথে বুক। এসবের মাঝে কি চোখ বন্ধ করা সম্ভব? এসবকে তওয়াক্কা না করে কি আমরা পারবো ঘুমুতে? বিবেক কি এতো নিষ্ঠুর হতে পারবে?
কবে পারবো একটু শান্তিতে ঘুমুতে? নিষ্ঠুরেরা মরলে? নাকি নিজে মরলে? কিছুই বুঝতেছিনা।
এভাবে নির্ঘুম ভাবে আর কয়দিন?
মাঝেমধ্যে ইচ্ছে যাগে নিজেই হিটলার হয়ে পুরো ইসরায়েল কে ধ্বংস করে দেই। ইচ্ছে যাগে নিজেই মহাপ্রলয় হয়ে এদেশের মাটি থেকে সব দূর্নীতিবাজদের ধ্বংস করে ফেলি। আর না হয় নিজেকেই!
মাঝেমধ্যে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হয়।
হে পৃথিবী তুমি একটু শান্ত হও আমরা শান্তিতে বাচতে চাই।
হে ধরণীর নিয়ন্ত্রক তুমি এই ধরণীকে শান্ত করে দাও। সর্বস্বান্ত করে দাও তাদের যারা এই ধরণীকে অপবিত্র করছে। সর্বস্বান্ত করে দাও সেইসব ক্ষমতাশালীদের যারা তাদের সাময়িক ক্ষমতার জোর খাটিয়ে অন্যের হক নষ্ট করেছে।
হে ধরণীর নিয়ন্ত্রক। নিয়ন্ত্রণহীন ধরণীকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়ন্ত্রক পাঠাও। যে এসে এই অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে রুখে দারাবে এবং ভেঙে দেবে সমস্ত অনিয়ম।
একজন নজরুল পাঠাও যে বলবে -
আমি দুর্ব্বার,
আমি ভেঙে করি সব চুরমার!
আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,
আমি দ'লে যাই যত বন্ধন,
যত নিয়ম কানুন শৃংখল!
আমি মানি নাকো কোনো আইন,
আমি ভরাতরী করি ভরাডুবি।
এমন একজন নজরুল দাও যে এসে বলবে -
লাথি মার ভাঙরে তালা, যতো সব বন্দিশালা।
আগুন জ্বালা আগুন জ্বালা। ভেঙে ফেল ভাঙ উপাড়ি।
আমাদের এমন একজন হাতিয়ার দাও যে এই বিশ্বের সমস্ত শয়তানদের বিরুদ্ধে রুখে দারাবে।
হে নিয়ন্ত্রক সহ্য হচ্ছেনা। সহ্যের সীমারেখা ভেঙ্গে ফেলেছে তারা। তাদেরকে আপনার রাগের দৃষ্টি দিয়ে পিষে ফেলুন। স্বস্থি দিন এই মজলুমদের। আপনি আর ধৈর্যের পরিক্ষা নিয়েন না। আমরা আর পারছিনা।
কতোগুলো রাত, কতগুলো দিন নির্ঘুম ভাবে কাটাচ্ছি।
চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে দেখছি কান খুলে শুনছি কি হচ্ছে।
হে এই বিশ্বের নিয়ন্ত্রক। আপনি ফিরে তাকান। আমরা আপনার দয়ার অপেক্ষায় তাকিয়ে আছি। পিষে ফেলুন এদের সবাইকে।
আমরা সবাই জানি আপনি ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না।
১ অগাস্ট ২০২৪! ভোর ৬ টা ৩০ মিনিট