অরুণোদয়ের তরুণ তুমি
জানো গন্তব্য সামনেই,
একবুক সাহস নিয়ে নবদিগন্তের পথে
দৃপ্ত প্রত্যয়ে পা বাড়াতে হবে,
তবে কেন থেমে থাকা!
সামনেই আছে নবোসূর্যোদয়
সাফল্যের সোনালী সূর্য,
তবে কেন উদাসীনতা!
জানো তুমি দিগ্বিজয়ী পথিক
পথই আপন, পথেই চলা
তবে কেন বিশ্রামের বিড়ম্বনা!
তোমার যে অভিষ্ঠ, যে আকাক্সক্ষা
খুব বেশি দূরে নয়,
তিমিরকুন্তলা শেষেই আছে
পূর্ব দিগন্তের নতুন প্রভাত,
তবে কেন ভয় পাওয়া!
জানো স্বাধীনতা ছাড়া তোমার চলবে না
ডাক এসেছে, বেরিয়ে পড়তে হবে
একমুঠো স্বাধীনতা খোঁজে নেওয়ার যুদ্ধে,
তবে কেন দ্বাররুদ্ধ করে পড়ে থাকা!
শান্ত সাগর অশান্ত হয়ে ওঠেছে
উত্তাল উর্মির মেলায়,
অগ্নিদীপ্ত শপথ টিকরে বেরোচ্ছে তারায় তারায়
তবু তুমি কিসের অপেক্ষায়!
জানো এটাই সময় রুখে দাঁড়াবার—
সকল অন্যায়, অবিচার, শোষণ-জুলুম
নির্যাতন আর পুঞ্জীভূত বেদনার,
তবু কেন তোমার এই নিষ্পৃহা!
আর কী ঘটার অপেক্ষায় তুমি?
কোন সে মন্ত্রের প্রবোধে বসে আছো অবচেতন?
হে তরুণ, এবার জাগো!
ওঠো, রুখে দাঁড়াও!
হাঁক ছাড়ো বজ্রকণ্ঠে
আওয়াজ তুলো প্রতিবাদের
শপথ নাও অধিকারের
জাগো, প্রত্যয়দীপ্ত হয়ে—
জীবন্ত আগ্নেয়গিরির মতো।
হে তরুণ, ভুলে যাওয়া আপনা
বিসর্জন দাও লোভ-স্বার্থপরতা
ভাবো দেশ, জাতি, মানবতার কথা
দুখের দহনে জ্বলতে জ্বলতে
বুকফাটা আর্তনাদ করে ওঠা
শোকে মূহ্যমান মানুষের কথা।
তরুণ, তুমি অরুণোদয়
এটাই সময়, এখনই সময়
জাগো তরুণ, জাগো নির্ভয়।
(লেখাটি গণজাগরণের সময় লিখিত। নিজের পুরনো ডায়েরির পাতা থেকে এখানে তুলে দেওয়া।)