পোস্টস

বাংলা সাহিত্য

রক্ত স্রোত পবিত্র আজহা"

৪ আগস্ট ২০২৪

মোঃ জসিম উদ্দীন গাজী

 

শহরের ছোট বড় সমস্ত রাস্তায়

রক্ত স্রোতের একটা গঙ্গা বয়ে গেলো,

বড় বড় দালানের গাউন্ড ফ্লোর গুলোতেও
পশুরা পালা ক্রমে নিজে থেকেই যেন,
শহীদ হতে তেমন কোন দিমত নেই তাদের 
তরবারির নিচে নিজের গলা পেতে দিতে,

যেমন যুদ্ধে গিয়ে রাসুলের সঙ্গী রা নির্ভয় 
তরবারির সম্মুখে নিজেদের মষ্তক পেতে দিয়ে
হাসি মুখে শহীদ হয়ে যেত অজস্র বীর

পাহাড়ের ঝর্নার পানির মত শব্দ করে কলকলিয়ে,

দেহের সমস্ত রক্ত বেরিয়ে আসে কোরবানির 
পশুদের গড় গড়িয়ে

আর সাথে প্রাণ,

এ যেনো নিজে থেকেই নিজেরা  উৎসর্গ করছে মহান প্রভুর চরনে পশুদের পশুরা,

মহান সৃষ্টি কর্তার আর্দেশ পাল করা-নিরবতা-শান্ত হয়ে যাওয়া,এযেনো এক অধির আগ্রহ স্বর্গ লাভের

গ্রাম্য বাড়ীর উঠান- আঙিনা গুলোও একই চিত্র

সবুজ ঘাস গুলো যেনো গরম আলতা স্লানে
নিজেদের ডুবিয়ে নিলো পশুদের রক্তে

মুসলিম যগত আল্লাহ কে খুশি করতে যেন
নিজের সন্তানকে কোরবান দিচ্ছে

ধাড়ালো তরবারী  দিয়ে পত্যেকে নিজের পশুত্বের জবাই করছে,

এ যেন নিজ পুত্রের রক্তে লাল হওয়া নিজের হাত,

নিজ হাতে সমস্ত দেহ খুব যত্ন করে পবিত্রতা বজায় রেখে চামড়া খসিয়ে,  খন্ডিত করা হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে

তবুও বুকে আনন্দ মুখে হাসি - আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে

তার পর অনতিবিলম্বে,

যগতকর্তার সান্নিধ্য লাভে প্রতি ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে পবিত্র কোরবানির অংশ বিশেষ

ত্যাগ এই আত্মা বিসর্জন এই মহিমা হোক কষ্টে অর্যিত
পবিত্র অর্থ সম্পদের উপর ভিত্তি করে,

যে টাকা কালো টাকা সে টাকায় নয় কোরবানি

সেত হবে লোক দেখানো কেবলি তামাশা আর ভণ্ডামি

আমার কোরবানি হবে কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য

রক্ত স্রোত পবিত্র আজহায় নেমে আসবে সুস্থ বাতাস
পৃথিবী যুড়ে,

বয়ে যাবে খুশি আনন্দ হাসি,

নেম আসবে আবার গ্রাম শহর  জুড়ে শীত,

গরমের দাবদাহে পুরবেনা প্রকৃতি,

কালের ইতিহাস ভেঙে দেয়া অনাবৃষ্টি 
জ্বলন্তসূর্য রুপ দেখা আমাদের খুব
দ্বীগবিদ্বীগ সূন্য করে উদ্বেগ বাড়িয় রাখার অবসান ঘটাবে

পুরবেনা নগরী হতে পল্লীর পান্থর,

পুরবেনা বাতাস,

পাখীরা আতংকে বেহুশ হবেনা

গলবেনা রাস্তার  কালো পিজ

গলবেনা বরফ,বরফ গালা হিমালয় গুলো পানির সাথে মিশে ডুবাবেনা কোন উপকুন,কোন শহর,হাজার বছর মাথা উঁচু করা কোন সভ্যতা, ডুববেনা আমাদের "সুন্দর বন"

এই ত্যাগ এর মহিমায় আমরা শপথ করবো,

হাজার লক্ষ কোটি নতুন বৃক্ষ চারা রোপন করবো

তারপর মহা পরিবর্তন আসবে এই জলবায়ুর

আমরা আবার এক হাজার বছর পেছনের সব 
প্রকৃতি ফিরে পাবো,

তারপর আবার বৃষ্টি হবে,
অবাদে নিজে প্রকৃতি তার সব কিছু সাজিয়ে নেবে
আমাদের জন্য তখন যথেষ্ট হবে বেঁচে থাকবার

আবার শীত ঋতুতে আসবে অতিথী পাখি,

দলে দলে পাখি,

ঝাঁকে ঝাঁকে তা নামবে খোলা মাঠে,

বসে থাকবে গাছের মাথায়,
ডালে,

কুয়াশায় জমবে সকাল,

ছাদরে ঢেকে থাবে অদ্দ বেলা অব্ধি নিজের শরীর,

ঘাশে শিশির জমে ভুদঁ হয়ে থাকবে

তারপর বসন্ত আসবে,
অতিথি পাখীরা ফিরে যাবে তাদের অন্য গন্তব্যে

পাখি ডাকবে,"আমাদের নিজেদের পাখি,"
বসন্তের পাখি 
রক্ত লালে ছে যাবে কৃষ্ণচুরা আর শিমুলের বনান্য

এই ত্যাগে আমাদের সমাজে আবার
নিরাপদ বার্তা হয়ে আসবে,

যৌতুক বিহিন শাদি হবে,

সুদের টাকায় কোরবানির পশু কেনা না হবে

ঘুষের টাকায় হয় তো আর বাড়ি গাড়ি হবেনা

কোন ফাইল আটকিয়ে থাকবেনা 
টেবিল খরচ এর জন্য

যোগ্য প্রার্থী যোগ্য স্থানে নিজের যোগ্য চাকরি পাবে,

রক্তাক্ত লালে লাল হওয়া এই "পবিত্র আজাহা" আমাদের দেশের উন্নতি নিয়ে আসবে,

ভোট ডাকাতি বন্ধ হবে

তেলবাজি 
পা ছাঁটা রোধ হবে,

মানীলন্ডারিং,
বিদেশে টাকা পাচার বন্ধ হবে,

শহরে শহরে বড় থেকে ছোট শহরে 
পরিচ্ছন্ন নগরীতে পরিনত হবে,

আমাদের মনের পশুত্ব এভাবেই কোরবান হবে,

আবার লোডশেডিং বন্ধ হবে,

সালামির নামে একশ কোটি বা হাজার
কোটি টাকা ঘুশ বন্ধ হবে,

কয়লা আসবে,

বিদ্যুৎ উতপাদন চলমান থাকবে

কল কারখানা চলবে শ্রমিক কাজ করবে,

হাসবে দেশ দেশের মানুষ,

সেলো চলবে মাঠে

সবুজ ফসল ফলবে,

খাদ্য গুদাম গুলো নিয়মে পণ্য আসবে যাবে

সিন্ডিকেট এর খপ্পরে পরে আর গুদাম 
গুলো গুম হবেনা,

এ সকল বর্তায় আসে আমাদের "পবিত্র আজহা"

হিংসা বিদ্বেষ অহংকার, মনের সব কালীমা
দূয়ে মুছে নিতেই আসে এই "রক্ত স্রোত পবিত্র আজহা"
রবের হুকুমে বলি হয়ে গেছে লাখো কোটি পশু প্রাণ
রক্ত স্রোত পবিত্র আজহা,,