সেই কবে হয়েছে শেষ দেখা,
হয়তো বছর দশেক হবে,
অথচ প্রতিদিন দেখা হতো
কথা হতো গল্প আড্ডা কতো কি!
মনে আছে তোমার,
সবে মাত্র ভর্তি হয়েছি আমরা,
ডিপার্টমেন্ট করিডোরে দাঁড়িয়ে আমি,
কোথা থেকে তুমি যেন এলে,
বললে " আই ডি কার্ড দাও "
কোন প্রশ্ন ছাড়াই বিস্ময়ভরা চোখে
তাকিয়ে ছিলাম তোমার পানে,
তারপর ফাইল থেকে বের করে
বাড়িয়ে দিলাম তোমায়।
রহস্যময়ীর মতো হাসি দিয়ে
চলে গেলে তুমি, আর আমি
বুকের ভিতর কালবৈশাখী ঝরের
তান্ডব নিয়ে তোমার যাওয়ার পথে
নিষ্পলক চোখে তাকিয়ে রইলাম।
কিছুদিন পর জানতে পারলাম
তোমরা আমার নাকি
নাম দিয়েছিলে ব্যাঙাচী,
চেহারা গতিকে ছোট ছিলাম বলে।
রাগ হয়নি তবে ভীষন
লজ্জা পেয়েছিলাম।
সেই থেকে শুরু, কতো স্বপ্নময়
দিনগুলো কেটেছিলো মোদের।
থিয়োরি ক্লাস প্রাকটিক্যাল ক্লাস
ডিপার্টমেন্টের সামনে আড্ডা
যেন আজও চোখে ভাসে আর
দীর্ঘঃশ্বাস বেড়িয়ে আসে বুক ভেঙে।
মনে পড়ে সেই রাজা রামমোহন
চাইনিজ রেস্টুরেন্টে শেষ বিদায়।
আর যেন হলোই না দেখা।
এই কয়েক বছরে অনেক পরিবর্তন।
তুমি তোমরা ছেলে মেয়ের বাবা মা,
বয়স হয়েছে আমিও এর বাইরে নই।
ছেলে মেয়ে পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত
তোমরা আমি সবাই।
কাউনিয়া বাবুকে ধন্যবাদ জানাই
একেবার অন্তরের গভীর থেকে,
ওর কারনেই আবার তোমায়
তোমাদের ফিরে পাওয়া।
মনেই হয় না দুরে আছি,
এইতো কাছেই
চোখ মেললেই যেন দেখা,
দুরে আছি তবুও ভালো আছি,
কারন তোমরা পাশেই আছো
এখনও সুখে দুঃখে।
ভালো থেকো তুমি তোমরা।