আজ ৩৫ জুলাই
৩১ জুলাই, ৩২ জুলাই, ৩৩ জুলাই, ৩৪ জুলাই ইত্যাদি প্রতীকে বছরের জুলাই মাসকে দীর্ঘায়িত করার জনসাধারণের এই যুগোপযোগী চিন্তা ও সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।
চিরাচরিত দিন হিসেবের নিয়মকে বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগন এক নতুন মোড়কে বিশ্ববাসীর নিকট উপস্থিত করেছে ইতোমধ্যে। এটা বিশ্ব বহ্মাণ্ডে এক অনন্য কীর্তি হিসেবে জনমনে গেঁথে থাকবে চিরজীবন। বিশ্ববাসী তাদের দর্শন, ইতিহাস, সাহিত্যে এ বীরত্বের কাহিনী লিখবে। তা শুধু প্রত্যক্ষ করাই বাকী রইল কেবল। বিবেকবান বাংলাদেশীরা পুরো বিশ্বকে শেখাচ্ছে, কীভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হয়।
ত্রিশ-একত্রিশ দিনের মাসকে তার পরিধির বাইরে নিয়ে গিয়ে চিরস্মরণীয় ও বরণীয় করে তোলা কেবল বিবেকবান বাংলাদেশীদের দ্বারাই সম্ভব। সকল অন্যায় অবিচারের রক্ত চোখ তুলে ফেলবে এ বিবেকবান বাংলাদেশী প্রজন্ম।
সম্পদের বিপরীতে যারা লাশ হিসেব করছে, সম্পদের বিপরীতে যারা নাগরিক জীবন অতিষ্ট করে তুলেছে তাদের প্রতি বিবেকবান বাংলাদেশীদের তীব্র প্রতিবাদের ফলস্বরূপ এই বিপ্লব থেকে যাবে।
আমি চাই আপনিও জুলাই মাসকে দীর্ঘায়িত করুন। শহীদদের স্মরণ করুন। বিপ্লব আসবেই। কেউ আটকাতে পারবে না।
পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। তুমুল ঝড়ো হাওয়ায় মাঝি তার পাল ঠিকই তুলেছে। কবি তার হৃদয়ের রক্তক্ষরণ লিখছে। গায়ক গাইছে, বক্তা বলছে, শিক্ষক দায়িত্ব পালন করছে, বাবা আদর্শিক হয়ে ওঠেছে, মা সাহসী হয়ে ওঠেছে, ভাই বোনের প্রটোকল দিচ্ছে। প্রজন্ম পরিবর্তনের স্লোগানে স্লোগানে রাজপথ মাতাচ্ছে।
সত্যিই চমৎকার!
ইনকিলাব জিন্দাবাদ