পোস্টস

সমালোচনা

অযোগ্য ব্যক্তিকে টকশোতে আনলে যা হয়

৫ আগস্ট ২০২৪

ওসমান এহতেসাম

গত ২ আগস্ট রাতে পরিবার নিয়ে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আন্দোলনের ভিডিও দেখছিলাম। হঠাৎ ‘টু দ্য পয়েন্ট’ নামের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশো সামনে এলো। পুরো অনুষ্ঠানটি দেখার পর বাবাকে বললাম, আমি নিশ্চিত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বিচারক থাকাকালীন হয়তো অনেক বিতর্কিত রায় দিয়েছেন। না জানি তাঁর ভুল রায়ে কত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সত্যি কথা বলতে, আমি তার নাম আগে কখনো শুনিনি। কাজেই চেনারও কথা নয়। এই আলোচিত টকশোটি দেখার মাধ্যমেই তাকে চিনলাম। তাকে না চিনেই, একদিনের টকশো দেখেই যে বাবাকে বললাম, ন্যায় বিচার করার মতো গুণ তার নেই। একজন বিচারক হিসেবে মামলার তথ্য ও প্রমাণগুলো বিশ্লেষণ করে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য যে বিশ্লেষণী চিন্তাশক্তি প্রয়োজন, তা তার মধ্যে নেই। কিন্তু আমার এ বক্তব্য কতটুকু সত্যি! নাকি না জেনেই কারো বিরুদ্ধে গিবত করলাম! কিন্তু জাতির দুর্ভাগ্য হলেও আমার সৌভাগ্য যে, গুগলে সার্চ দিয়ে আমি এর সত্যতা পেয়েছি। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত রায় দিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁর কারণে বিচার অঙ্গনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে নানা সময়ে একমত পোষণ করেছেন সরকার ও বিরোধীপক্ষের আইনজীবীরা।
আমি কেন তাকে অযোগ্য ভাবলাম, অনেকের জানার আগ্রহ থাকতে পারে। সম্প্রতি ‘টু দ্য পয়েন্ট’ নামের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে সঞ্চালক দীপ্তি চৌধুরী এবং সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে আলোচনা চলাকালীন, বিচারপতি মানিকের উত্তেজিত আচরণ ও দীপ্তির প্রফেশনালিজম নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এই ঘটনাটি কেবলমাত্র একটি টকশো নয়, বরং এর মাধ্যমে একটি বৃহত্তর সামাজিক ও পেশাগত মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটেছে। আপনারা দেখেছেন, ৪৮ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের এই অনুষ্ঠান চলাকালীন শুরুতেই মেজাজ হারান সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তিনি আন্দোলনকারী সকল শিক্ষার্থীকে রাজাকারের বাচ্চা সম্বোধন করে আলোচনা শুরু করেন। পরবর্তীতেও তিনি এ শব্দটি বহুবার উচ্চারণ করেছেন, বাধা সৃষ্টি করেছেন সঞ্চালকের উপস্থাপনায়। সঞ্চালক বারবার কেন তাকে প্রশ্ন করছে- এমনটা তিনি মানতে পারছিলেন না। তার পরেও চৌকস উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরী জনগণের হয়ে তাকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, মেজাজ হারানো মানিক তার প্রশ্নের একটি উত্তরও দিতে পারেনি বা দেয়নি। বরং দেশের ৪ কোটি রাজাকারের মুখস্ত রচনা বর্ণনা করে এবার আপনার প্রশ্নে আসি বলে পুনরায় রাজাকারের রচনায় ফিরে গেছে। একজন বিচারপতির বক্তব্যে যে বিশ্লেষণ আমরা শুনতে চেয়েছি, তার যেন কিছুই পাইনি। চৌকস সঞ্চালকও যেন বিপদ বুঝতে পেরে ফিরে গেলেন অনুষ্ঠানের আরেক বক্তা গোলাম মাওলা রনির কাছে। বলে রাখা ভালো, গোলাম মাওলা রনি বাংলাদেশের একজন শক্তিশালী পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক। এর পাশাপাশি সুদর্শন বক্তা ও কলামিস্ট। পূর্বে আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও বর্তমানে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমি নিয়মিত পত্রিকায় তার কলাম পড়ি, তিনি অসাধারণ যুক্তিসহ কলাম লিখেন। সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলার সৎ সাহস তার কলামেই পাওয়া যায়। তার লেখা কলামের পাশাপাশি তার টকশোতেও থাকে আমার গভীর মনোযোগ। সময় পেলেই তার টকশো শুনি। টকশোতে তার একটি বড় গুণ রয়েছে, সেটি হলো তিনি টকশোতে কখনোই উত্তেজিত হন না। প্রতিপক্ষ যতই উত্তেজিত হোক না কেন, তিনি নিরবই থাকেন। নিরব থেকে মুচকি হাসি রেখে বক্তব্যে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করাই তার চিরচেনা স্বভাব। তার কাছে ক্ষমতার শক্তি নয়, বরং বক্তব্যের যৌক্তিকতাই প্রাধান্য পায়। বিগত দিনে তার বক্তব্যের কাছে হেরেছেন অনেক শক্তিশালী নেতা। তাই প্রতিটি টকশোর ক্ষেত্রে আমি তাকে ঠান্ডা মাথার খুনি বলেই সম্বোধন করি। এ খুনি আবার মানুষ হত্যার খুনি নয়। এ খুন কথার খুন! অন্যান্য পরাজিত নেতাদের মতো ওইদিনের টকশোতেও যেন হেরেছেন বিচারপতি মানিক। টকশোতে বক্তব্যের সুযোগ পেয়ে সুচতুর গোলাম মাওলা রনি তার উদ্দেশ্যে বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান সমস্যাটি হলো রাজনৈতিক সমস্যা। যেহেতু তিনি (বিচারপতি মানিক) বিচার বিভাগের মানুষ, বিচার-আচার, আইন-কানুনের বাইরে তার ব্রেন রাজনৈতিকভাবে অন্য সবার মতো কাজ করবে না। তাই আমি তার সঙ্গে বিতর্কে জড়াবো না। এ কথার মাধ্যমে গোলাম মাওলা রনি কখন যে বিচারপতির বুকে কথার সুই ঢুকিয়ে দিলেন তা যেন টেরই পেলেন না। বলা যায়, এটিই টকশোর সৌন্দর্য। বক্তার এ বক্তব্য পুরো অনুষ্ঠানকে উজ্জীবিত করেছে। 
গোলাম মাওলা রনি তার রাজাকার রচনা নিয়েও হাস্যরস করতে ভুল করেননি। বিচারপতি আন্দোলনকারী সকলকে রাজাকার উল্লেখ করে পাকিস্তানের পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বললে, গোলাম মাওলা রনি বলেন, উনার কথামতো যদি ৪ কোটি রাজাকারের বাচ্চা এই বাংলাদেশে থাকে, তার সাথে যদি চার কোটি রাজাকারের বাপ-মা, নাতি-পুতি ও প্রেমিক-প্রেমিকা থাকে তাহলে এর সংখ্যা দাঁড়ায় বারো কোটি। একজন রাজাকারের ছেলে-মেয়ে কখনোই মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সাথে প্রেম করবে না। রাজাকার রাজাকারদের বিয়ে করবে। আর বারো কোটি এই রাজাকারদের কখনোই পাকিস্তানের পাঠানো সম্ভব হবে না। বরং বারো কোটি রাজাকার যদি এক হয়ে যায় তারা অনেককে ভারতে পাঠায় দিতে পারে। গোলাম মাওলা রনি যখন একথা বলছিলেন, তখন তার দিকে বারবার তাকানো ছাড়া উপায় ছিল না বিচারপতি মানিকের। বিচারপতি মানিক যে যৌক্তিক যুক্তিখন্ডন করতে পারেন না, তা যেন ওই টকশোতেই প্রমাণিত হয়েছে।

পুলিশ প্রয়োজনে গুলি করেছে- বিচারপতি মানিকের এমন বক্তব্যে উপস্থাপিকা জানতে চান, আপনি কি আবু সাঈদের মৃত্যুর ভিডিও দেখেছেন? তখনই মেজাজ হারিয়ে চেচামেচি শুরু করেন বিচারপতি মানিক। যৌক্তিক ব্যাখ্যা না দিয়ে তার দাবি, আবু সাঈদের হাতে অস্ত্র ছিল, তাই পুলিশ তাকে গুলি করেছে। অথচ ভিডিওতে স্পষ্ট যে, শহীদ আবু সাঈদের হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না, ছিল একটি সাধারণ লাঠি। আবু সাঈদ তো কারোর উপর হামলা করেনি যে তাকে গুলি করতে হবে। তারপরও আবু সাঈদকে প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও পুলিশ কর্তৃক হত্যার কথাটি স্বীকার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জানলেও এ যেন চোখেই দেখেনি বিচারপতি মানিক। এক্ষেত্রে আমার মতে, বিচারপতি মানিককে অন্ধ বলাও অপরাধ হবে না। অথচ তা না বলেও অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকাকে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। শুধু অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়েই যে বিতর্কিত আচরণ করেছেন এমনটা নয়, অনুষ্ঠান শেষে দীপ্তি চৌধুরীকে রাজাকারের বাচ্চাও বলেছেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এমন আচরণ কখনোই একজন গুণী মানুষের আচরণ হতে পারে না। বাঙালি জাতি এমন জ্ঞানহীন একজন বিচারকের কাছে কিছু আশাও করে না। আমার সন্দেহের জায়গাটা সেখানে, আদৌ কি উনি যৌক্তিক ন্যায় বিচার দিতে পেরেছিলেন? নাকি নিজের মাথায় যে ভূত চেপেছে সেই রায় দিয়েই বিচারকার্য শেষ করেছেন! কথায় কথায় উত্তেজিত হওয়া মানুষটি কি আদৌ বিচারক হওয়ার যোগ্যতা রাখে, নাকি বিচারকরা এমনই হয়! আরো জানতে ইচ্ছে হয়, তার বিচারাধীন আদালতে, তার উত্তেজিত মেজাজের সামনে, আইনজীবীরা কি আদৌ স্বাধীনভাবে শুনানি করতে পেরেছিলেন?
আমরা জানি, একজন বিচারপতির সবচেয়ে বড় গুণ হলো বিশ্লেষণ ক্ষমতা। কিন্তু তার বিশ্লেষণ ক্ষমতা ও আচরণ এতই নিন্ম যে তা বরাবরই জাতির কাছে অপ্রত্যাশিত। একজন বিচারপতির কাছ থেকে আরও অনেক বেশি শৃঙ্খলাবদ্ধ ও যুক্তিসঙ্গত আচরণ আশা করা হয়। যিনি নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম, তার কাছ থেকে নিরপেক্ষ ও সঠিক বিচার পাওয়া কতটা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিচারপতি মানিকের উত্তেজিত হয়ে দীপ্তি চৌধুরীকে "রাজাকারের বাচ্চা" বলা বিচারবহির্ভূত ও অপেশাদার আচরণ হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। এটি শুধু ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়, বরং বিচারপতির রায়দান ক্ষমতা ও নৈতিকতার ওপরও প্রশ্ন তুলেছে। 
অন্যদিকে দীপ্তি চৌধুরী একজন পেশাদার খ্যাতিমান উপস্থাপিকা। তার প্রতিটি উপস্থাপনা আমাদের বরাবরের মতোই মুগ্ধ করে, মুগ্ধ করেছে বহুল আলোচিত ওই দিনের ওই টকশোর উপস্থাপনাও। একজন সঞ্চালকের প্রধান দায়িত্ব হলো তার অতিথিদের সম্মান দেখানো ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা। চৌকস উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরী এই দায়িত্ব পালনে কোনো কমতি রাখেননি। বিচারপতির অসৌজন্যমূলক কথার প্রতিক্রিয়ায় তিনি নিজের অবস্থান থেকে সরে যাননি এবং পেশাদারিত্ব বজায় রেখেছেন। তার এই ধৈর্য্য ও বুদ্ধিদীপ্ত উপস্থাপনা তাকে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা এনে দিয়েছে। প্রায় ৪৯ মিনিটের এই শোতে বেশ বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা, উপস্থাপনা, ধৈর্য্য ও বাচনভঙ্গির কারণে প্রশংসায় ভেসেছেন দীপ্তি। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ছোট ছোট ক্লিপ। সেখানে নেটিজেনদের মুখেও শোনা যাচ্ছে দীপ্তির ভূয়সী প্রশংসা। পুরো অনুষ্ঠান চলাকালীন তার প্রশ্ন করার ধরনও ছিল নিরপেক্ষ। কিন্তু পক্ষপাতের বিচারপতি মানিক উল্টো ওই খ্যাতিমান উপস্থাপিকাকে অন্য একটি পক্ষের বলেও অভিহিত করেছেন। এক কথায় বলা যায়, ভয়ংকর এক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে শো-টাইম পার করেন সঞ্চালক। এদিকে দেশের মানুষ দেখেছেন, আলোচনার শুরুতেই শিক্ষার্থীদের রাজাকার সম্মোধন করে ভিন্ন প্রান্তে অবস্থান নিয়েছেন বিচারপতি মানিক। ভিন্ন প্রান্তের সেই বিচারপতি কিভাবে নিরপেক্ষ হয়, কিভাবেই বা দু'পক্ষের অভিভাবক হয়ে সমাধানের পথ খুঁজবেন! তাইতো নিজে নিরপেক্ষ না হওয়ায়, অন্যের নিরপেক্ষতা তার দৃষ্টিগোচর হয়নি। উপস্থাপিকা যদি একটি পক্ষের দালালি করে তার সুরে কথা বলতেন- তাহলে হয়তো তিনি বলতেন-ভেরি গুড। অন্যভাবে উপস্থাপন করলে বলা যায়, অযোগ্য ব্যক্তিকে টকশোতে আনলে যা হওয়ার কথা, তাই হয়েছে।
এই ঘটনাটি আমাদের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেখায়—পেশাদারিত্ব ও নৈতিকতার মানদণ্ড। বিচারপতি হিসাবে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের আচরণ যে অপ্রত্যাশিত ও অগ্রহণযোগ্য, তা স্পষ্ট। বিচারপতি হিসাবে তাকে আরও সংযত ও যুক্তিসঙ্গত আচরণ করতে হতো। অন্যদিকে, দীপ্তি চৌধুরী তার পেশাদারিত্ব ও নৈতিকতা বজায় রেখে সমাজে একটি ইতিবাচক উদাহরণ স্থাপন করেছেন। অবশেষে, এই ঘটনাটি আমাদের জন্য একটি শিক্ষা। পেশাগত জীবনে শৃঙ্খলা, ধৈর্য্য, এবং যুক্তিসঙ্গত আচরণই মূলমন্ত্র হওয়া উচিত। যে কোনো প্রকার উত্তেজনা বা ব্যক্তিগত আক্রমণ কেবল সমস্যা বাড়ায় এবং সমাধান থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। দীপ্তি চৌধুরীর মত মানুষরা তাদের পেশাগত দক্ষতা ও নৈতিকতার মাধ্যমে আমাদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবেন। অন্যদিকে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে টকশোর অতিথি নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আরও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যোগ্য ও প্রফেশনাল ব্যক্তিত্বদের টকশোতে আমন্ত্রণ জানিয়ে, তারা টকশোর মান বৃদ্ধি করতে পারে এবং দর্শকদের জন্য উপকারী আলোচনা প্রদান করতে পারে। অযোগ্য ব্যক্তিদের টকশোতে আনার ফলে যা হতে পারে, তা থেকে আমরা শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে আরো সচেতন হতে পারি।


লেখক: শিক্ষার্থী ও সমন্বয়ক- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন
ইমেইল: osmangonistudent5@gmail.com