উৎফুল্ল জনতার মাঝে চোখ রাখলাম। খবর ফেলাম কোন একজনের লাশ পোঁকায় ধরেছে। পোঁকা না শুধু শকুনেরা মাথার উপর দেখি শাই শাই করে নজর রাখছে। ঘটনা এখানে মিটে যেতে পারতো। তা হয়নি কারণ রাগচক্ষু ওসি লাশের পরিচয় জানতে গিয়েই গোলমালটা বাধিয়ে দিলেন।
পরিচয় জানার কৌতুহলটা আমিও আর লুকাতে আর পারলাম না। ওসি পথ ধরে ভিড়ে মধ্যে ডুকে গেলাম। আবিষ্কার আমার পাশের শামীম। পুরো নাম শামীম শিকদার চুন্নু যাকে আমরা চুইন্না বলে চিনি।
জেনেও চুপ করে থাকলাম। ওসির তদন্তে কি আসে সেটার জন্য। ওসি বের করলেন মোজম্মেলের ছেলে চুইন্না। এতদূর আমিও জানি। যেটা জানি না সেটার খোঁজ করতে থাকলাম লাশ হলোও কেন? আর কি কারণে বা এক কি. মি. পথ পেরিয়ে লাশের এ দশা।
ভাল করে চোখ রাখলাম লাশের দিকে। ডানহাত কেটে গেছে,চোখ ঝুলে মাটিতে লুটিয়ে আছে,গালের এক পাশে চুরির আঘাতে বড়সড় গর্ত। বাকিসব ঠিকই আছে কিন্তু যেটা ঠিক নেই সেটার খোঁজ করলাম। আত্নহত্যা নাকি খুন?
পরপর দুদিন গ্রামে এ পাশ থেকে ও পাশে ঘুরছি। হাঁটছি পুলিশের উপর ভরসা না করে আত্নহত্যা নাকি খুন উত্তর খুঁজছি। হঠাৎ চোখে আঠারোয় সবে উত্তাপ যৌবনের এক নারী। চোখ নেই। বোধ হয় কোন দূর্ঘটনায় গেছে। হাতের কন্জি থেকে তালু নেই। গালে হাল্কা মাংস ঢুকে গর্ত। মনে হলো সবে কোন দূর্ঘটনার নিখাদ স্বাক্ষী। উত্তর খুঁজতে থাকলাম এক মৃত আর জীবিত লাশের সম্পর্ক।
কি এ সম্পর্ক..