লেটার না ,কিছুটা লেটার হেড তৈরী করা একটা অনভিপ্রেত উদ্দেশ্য ছিলো। উদ্দেশ্যটা সোজাসাপ্টা কলম তুলিতে কিছু লেখা।
যেখানে কয়েক খন্ড আবেগের সাথে কিছুটা ভাল লাগা খারাপ লাগার বিশদ বর্ণনা তুলে ধরার অভিপ্রায় ছিলো। কিন্তু সেটা আর কই হলো। হতেও পারতো। হয় নি যেটা ভেবে সেটার একটা কারণ ছিলো ঠিকানা জানা নেই। চিরকুট বেনামী না হলেও যারা জন্য লেখা তার নাম ঠিকই ছিলো ,আছে। হুট করে লিখা যেতো। ডাকপিয়ন ডেকে খাকি পরিয়ে দুটো পয়সা ধরিয়ে হলুদ খামে মুড়িয়ে দেয়া একদম সহজ ছিলো। কিন্তু ভয়ের জায়গা টা ও ছিলো ,যদি ভুল হাতে উঠে যায়? তারপর যে কান্ড ! দশ গ্রাম না হলেও এক দুই করে দশ কান তো হবেই। হোক না। এমন সাহস ,কথা বলা যায়। কিন্তু বিপরীতে মানুষটাকে যে কি সময়ের মধ্যে যেতে হতে পারে ,এই চিন্তায় সে পথও বাদ দিলাম। সহজ কথাই মোটামুটি ঘুটিয়ে নেওয়া,নিশ্চুপ হয়ে যাওয়া।
আসল কথায় আসি।মানুষের চাওনি আর হাসির একটা বিশেষ প্রভাব বলয় তৈরি করে নেয় অন্যের মন কুটিরে। প্রত্যহ একটু করে তুলোর মত রং চুষে নেয়। যেটা একদমই স্বাভাবিক। যেটা স্বাভাবিক না সেটা -টান অনুভব করা ,উপস্হিতি অনুপস্হিতি টের পাওয়া,প্রবল আর্কষণ বলয়ে ঢুকে বলা -“আমি ইহার অধিকার চাই। “আমি এখন এ অস্বাভাবিকতার একজন। যার কথায় ভুলে যেতে পারি যত পুথি,মালা ,তজবি।
বৈশাখের কাল ,ঝড়, উৎসাহ ,উদ্দীপনা থাকে।কত খানি মন্দ না থাকলে ,ভাল আনন্দ উপভোগ করা যায় না। তর্কের খাতিরে অতটুকু উত্তর যথেষ্ট যদি প্রশ্ন হয়—শুধু ভালটুকুই দেখলেন। যদি চেনার প্রশ্ন আসে। তাহলে অনায়াসে বলা যায় -ক্লালার ব্লাইন্ড তো রংয়ের পার্থক্য করতে পারে না তবুও সে পৃথিবীটাকে রঙ্গিন দেখে। আর যদি প্রশ্ন অন্ধ তো আলোই দেখে না তাহলে? অন্ধ দু:খ অনুভব করে ,হাসতে পারে। বোবা তো কথাই বলে পারে না তবুও সে বুঝে ,বুঝাতে পারে। পুরোপুরি চেনার ,জানা,অনুভবে প্রশ্ন অনেক দূরে থাক। কঠিন হবে। সহজ থাকি। জীবন সুন্দর।
পরের বার কলমে লিখতে চাই। ধানের গন্ধে,টুপটাপ শদ্বে খই ফোঁটাতে চাই। না হয় নি:সঙ্গ মাছের মত খাবি খেতে খেতে সৌন্দর্যের অক্সিজেনে আবার ডুবে থাকতে চাই। যেটা যেমনই হউক। সুন্দর থাকি, ফুল ফুটুক ,যেথায় মৌমাছির কপদাতিক মার্চ করতে করতে বলুক— ভালবাসি,ভালবাসি,ভালবাসি।
উত্তর চাই ,উত্তর চাই অমন ডাকে মৌয়াল খুঁজে বেড়াক কোথায় সেই আশ্রয় স্হল যেথায় আমার অন্ন জুটে আর এই লেখকের শান্তি।