বাবা মায়ের আদরের কন্যা,
দিন যাচ্ছে বয়স হচ্ছে।
এদিকে এলাকার যুয়ন থেকে বুড়ো,
চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে।
সমাজ ভালো না, কার দায় দিব?
চাকরি ওয়ালা ছেলের সাথে বিয়ে হলো।
দিনের পরে রাত আসে, তারপর আবার দিন।
জীবনের কষ্টে সুখ শব্দটা হারিয়ে গেল।
নির্জন বসে একলা বাবা-মায়ের কথা ভাবে!
যখন দেখতে ইচ্ছে করে,
মনের জানালায় চেয়ে থাকে।
বিয়ে হয়েছে পনেরো মাস,
বাবা-মায়ের দেখা পায়নি।
কি করে পারবে? যৌতুক তো দেয়নি।
বাবা ফারুক সাহেব, যার চোখে ছিল না জল।
মেয়ের শোকে চোখে জল টল-বল।
কোন কথা কয় না,
বাবারা নাকি সব সইতে পারে।
মেয়ের মা সাত মাস ধরে বিছানাতে।
মেয়ের খোঁজে গিযেছিল মোরখালী।
মেয়েকে না দেখলেও!
বেয়াই বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছে, অপমানের বোঝা।
মেরে ফেলবে বলে, কথা কয় না মেয়ে।
এ রকমই দিন যায়, মেয়ের দেখা পায় না বাবা-মা।
মেয়ের ডায়রিতে লেখা,
"এভাবে আর কয়দিন, সইবে মোর বাপ মা, উপহার রুপের যৌতুক দিতে দিতে, এবার মুক্তি দাও আমার জগতকে।"