"পবিত্র কুরআন নাজিলের জন্য মর্যাদাপূর্ণ রজনী।"
ইব্রাহিম (আঃ) এর সহীফাসমূহ ৩রা রমযানে, হযরত মুসা (আ.) এর তাওরাত ৬ই রমযানে, হযরত দাউদ (আ.) এর যাবুর ১৮ই রমযানে এবং হযরত ঈসা (আ) এর ইঞ্জিল ১৩ই রমযানে অবতীর্ণ হয়েছে। পবিত্র কুরআন শরীফের ৯৭তম সূরা ক্বদরের ১নং আয়াতে জানা যায় আল কদরের রাতে মুহাম্মদ (সঃ) এর প্রতি পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয়।
সূরা ক্বদরের ১নং আয়াতের বাংলা অনুবাদ—
"আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে।"
কত তারিখে অবতীর্ণ হয়েছে তা সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেন, "পবিত্র কুরআন রমজান মাসের শেষ দশের বিজোড় যেকোনো এক তারিখ অবতীর্ণ হয়েছে।"
তাই ২১, ২৩, ২৫, ২৭ এবং ২৯ রমজানের যে কোন একদিন পবিত্র কুরআন শরীফ অবতীর্ণ হয়েছে। মুহাম্মদ (সঃ) রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের অনুসন্ধান করার কথা বলেছেন। লাইলাতুল কদরের ফজিলত বোঝানোর জন্য মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ‘ক্বদর’ নামে আলাদা একটি সূরা নাজিল করেছেন।
সূরা ক্বদর পবিত্র কুরআন শরীফের ৯৭তম সূরা। সূরা ক্বদরের আয়াত সংখ্যা ৫ টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১টি। সূরা ক্বদরের ২ থেকে ৫ নং আয়াতে আল কদরের রাত্রির মর্যাদা-মহিমা বর্ণিত ও প্রশংসিত হয়েছে।
মুহাম্মদ আল ইমরান।
রবিবার | ২৪শে চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ৭ই এপ্রিল ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।