এরিস্টটলের উক্তি জানতে ইন্টারনেটে সন্ধান করলে একটি উক্তি চিন্তাশক্তিকে নাড়া দেয়। উক্তি হলো-
"তরুণ বয়সে অর্জিত ভালো অভ্যাসই ভিন্নতা এনে দেয়।" ~ এরিস্টটল।
সাহিত্য রচনা যে একটি ভালো অভ্যাস এটা বলতে দ্বিধা নেই। তাই তরুণ বয়সে যদি সাহিত্য রচনার মত ভালো অভ্যাস গড়ে তোলা যায় তাহলে ব্যক্তি জীবনে অন্যদের থেকে ভিন্নতা এনে দিবে।
বাংলা সাহিত্যকে তিন যুগে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো প্রাচীন যুগ(৯৫০ থেকে ১২০০ পর্যন্ত), মধ্যযুগ(১৩৫০ থেকে ১৮০০ পর্যন্ত), আধুনিক যুগ(১৮০০ থেকে বর্তমান পর্যন্ত)। তবে এই তিন যুগের মধ্যে আছে অন্ধকার যুগ(১২০০ থেকে ১৩৫০ পর্যন্ত) তখন দেড়শো বছর বাঙলা ভাষায় কিছু রচনা হয় নি। হুমায়ুন আজাদ তার "লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী" গ্রন্থে 'প্রদীপ জ্বললো আবার: মঙ্গলকাব্য' শিরোনামে লিখেন অন্ধকার যুগের অবসানের পরে যে সাহিত্য রচনা হয়েছে সেই কথা।
লেখকরা তাদের সৃজনশীলতা বিস্তৃত করে দেন পাঠকের জন্য। রচিত হতে থাকে ছোটগল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ ও নাটকের মত নতুন নতুন সাহিত্য। তবে এখানে চিন্তার কথা এই যে, নব্য পরিচিতি পাওয়া অর্থহীন নয় এমন লেখকের বই কিংবা তাদের লেখা সাহিত্যের জন্য ভিন্ন পথ। সেই ভিন্ন পথের দ্বার থেকে নিজেকে রক্ষার্থে প্রয়োজন সাহিত্য চর্চা হয় এমন সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া। তেমনই একটি সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সংসদ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সংসদ "বুড়িগঙ্গা" নামক গ্রন্থ প্রকাশ করে থাকে। যাতে বিভিন্ন লেখক তাদের লেখা দিয়ে থাকে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সংসদের ধারার ৭ সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী ২০২৪ সালের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যাতে সভাপতি হিসেবে আছেন, আলিমুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক, শেখ শাহরিয়ার হোসেন। এছাড়াও বিভিন্ন পদের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
"সাহিত্যের চেতনায় তারুণ্যের স্বপ্নগল্প" এই স্লোগানকে সামনে রেখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সংসদ তাদের সাহিত্য চর্চা করে যাচ্ছে। তরুণদের ভিতর আছে উদ্দীপনা। তরুণদের দ্বারাই অসম্ভব কাজকে সম্ভব করা যায় সহজে। তারুণ্যের এই ধারা অব্যাহত থাকুক সাহিত্য রচনায় ও চর্চায় এই কামনা করি।
~ মুহাম্মদ আল ইমরান।
শুক্রবার | ২৪ ফাল্গুন ১৪৩০ | ৮ মার্চ ২০২৪
"জবি সাহিত্য সংসদ: তারুণ্যের ভালো অভ্যাস।" ~ মুহাম্মদ আল ইমরান।
১০ আগস্ট ২০২৪
মুহাম্মদ আল ইমরান