'মহান পিতার শিরশ্ছেদ'
সন্তানের কর্ম ফলে সুমহান পিতার
শিরশ্ছেদ হয়ে যায়-হায়!
বড় বেদনার কলংক মহা কাব্য রচিত হয়
জানিনা তা ক জনই এই কাব্য রসদে হাসেন
বা কজন এই কাব্য বিষাদে কাঁদেন
এ যেন-এজীদের চক্রান্ত রণে
হোসাইন জবাই হয়-মরু কারবালা রক্ত সাগর
রক্তক্ষরণ হয় দু-চোখে-যেন অশ্রু ত নয়
ইচ্ছের বাইরে যেমন রক্ত নির্গত করে নারীমহান
ঋতুস্রাবের নিরব যন্ত্রণায়- খিচনি
এত হিসেব রেখে গেছো তা যেন অন্তত কালে
মেলাবর নয় তা আজ পিতার করুন বীভৎস দেহ
মস্তক কুৎসিত মুখ ভাস্কর্যের কংকাল
গৌরব এর সব ইতিহাস ভাসালে গঙ্গা ভেলায়
কি জীবনের মধ্য দিয়ে দেশকে এত অপবিত্র
রেখে গেলে এত প্রাণঘাতে রাক্ষুসি হয়ে
মহা প্রলয় হলে যা হবার তাই যেন করে গেলে
হয়েই গেলো যেনো প্রলয়!
এখন চলছে শেষ বিচারের কার্যক্রম
সব আমলনাময় উঠেছে পিতার পাল্লায়
নরকের সিপাইরা টানছে গলে আগুনের
শিকল পড়িয়ে চারপাশে দেহ কাঠামো সব
ছিড়ে গেলো হাত-পা-মন্ডু-ধূলো হয়ে মিশে গেলো
ধূলোয়-হাওয়ায়!
মহান কর্ম ফল সব পাপে ধাবিত হয়ে গেলো
কি-কির্তী করে পালালে আহা! নিকৃষ্ট-উগ্র-পথভ্রষ্টা