এই যে জোর করে সত্যকে মিথ্যা, অন্যায়কে ন্যায়, দিনকে রাত বলানো-
একি সত্য সহ্য করতে পারে? এ শাসন কি চিরস্থায়ী হতে পারে?
এতদিন হয়েছিল, হয়তো সত্য উদাসীন ছিল বলে।
কিন্তু আজ সত্য জেগেছে, তা চক্ষুষ্মান জাগ্রত-আত্মা
মাত্রই বিশেষরূপে জানতে পেরেছে।
এই অন্যায়-শাসন-ক্লিষ্ট বন্দী সত্যের পীড়িত ক্রন্দন
আমার কণ্ঠে ফুটে উঠেছিল বলেই কি আমি রাজদ্রোহী।
এ ক্রন্দন কি একা আমার?
না-এ আমার কণ্ঠে ঐ উৎপীড়িত নিখিল-নীরব ক্রন্দসীর সম্মিলিত সরব প্রকাশ? আমি জানি, আমার কণ্ঠের ঐ প্রলয়-হুঙ্কার একা আমার নয়,
সে যে নিখিল আত্মার যন্ত্রণা-চিৎকার।
আমায় ভয় দেখিয়ে মেরে এ ক্রন্দন থামানো যাবে না।
হঠাৎ কখন আমার কণ্ঠের এই হারাবাণীই তাদের আরেক জনের কণ্ঠে গর্জন করে উঠবে।
একযুগ পর এসেও কিভাবে কাজী নজরুল ইসলামের ব্রিটিশ শাসন বিরোধী কথাগুলো বর্তমান বাংলাদেশকে প্রতিফলন করছে।এখন বুঝতে পারি কেন নজরুলকে বারবার জেলে যেতে হয়েছিলো।July 30,2024