পূর্নিমার রাতের নিশিযাপন,
শত্রু-মিত্র আজ সব আপন।
সাঁতারু যুবকের শীতের কাপন।
সব মিলে হয়েছে আজ একাকার।
ভুলে গেছে লোকে শত্রু ছিলো কবেকার।
ঢোলের তালে বৃদ্ধ নাচে, বৃদ্ধা নাচে তালে
ঢোল বাজিয়ে ঢুলী নাচে, নিশি রাত্রিকালে।
ঢোলের বারির জোরের তাল।
এক করে দেয় রাত্রি সকাল।
সেই তালে বাজনা বাজে।
তাক ধুমা ধুম ধুম।
তালে তালে ভাংতে থাকে।
সকল লোকের ঘুম।
ঢুলী বলে ওঠ তোরা
দেখ গগনের চাঁদ
ঘুমোস না-রে আর তোরা।
ঘুমই মরণের ফাঁদ
গাঁয়ের লোকে বলে তখন ঢুলী রে তুই থাম।
চাঁদ দেখবো ঘুম ভেঙে? খেয়ে নেই কাজ কাম।
ঢুলী হাঁকে গাছের ফাকে চেয়ে দেখ কি আছে।
চাঁদের সেই দৃশ্য দেখে গাঁয়ের লোক কি বাঁচে?
পূর্নিমা পবনে মস্ত গগনে ঝলমল করে চাঁদ!
পৃথিবীকে ঘীরে করে ঘুর্ণন সাথে করে বাজিমাত।
সেই ঘূর্ণনে জন্ম নেয় জোয়ারের সাথে ভাটার!
তারই তালে যুবকেরা দেয় মস্ত সাগরে সাঁতার।
এক তালে
সবাই বলে
আজ পূর্নিমার রাত!
সবে মিলে আনন্দে মাত।
আনন্দে কর উল্লাস!
উল্লাসে কর তল্লাশ।
আয় তোরা সখি সখা
চাঁদ মামা আজ দিলো দেখা
মস্ত গগন চিরে
এই দিন চলে গেলে
আর কি পাবি ফিরে?
ওরে গায়ের ছোকরা ছুকরি।
নিয়ে নাম খর কুঠরী।
উঠোন মাঝে দে আগুন!
আজ মোদের চন্দ্র ফাগুন।
আগুন দিয়ে জ্বালা লাঠি।
খেলবো মোরা চড়ুইভাতি।
বৃদ্ধেরা বলে তখন ওরে তোরা মাতিস না।
চাঁদ আর নতুন কি, এ নিয়ে নাচিস না
যুবক বলে ওহে বৃদ্ধ রুগ্ন তুমি পথ্য চাও?
পথ্য মিলবে কেবল যদি প্রকৃতির প্রেম পাও।
বৃদ্ধ তখন দুই নয়ন ভরে দেখলো চাঁদ।
সেই সাথে কাটলো তার জীবন মরনের ফাঁদ।