পোস্টস

নন ফিকশন

আজকে কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে বেশ অভিভূত হলাম।

১৯ আগস্ট ২০২৪

হৃদয় হাসান

আজকে কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে বেশ অভিভূত হলাম।      

কোনো কোলাহল নাই,দালালদের আনাগোনা নাই। যে যেভাবে কাগজ পত্র দেখাচ্ছে কর্মকর্তারা সেভাবেই এপ্রুভ করে দিচ্ছে। মানে সব ওকে,কোনো ঝামেলা নাই কারো ডকুমেন্টে।

অথচ, কিছুদিন আগেও পার্সপোর্ট অফিসের চিত্র ছিলো এইরুপ-

আপনি দালাল ছাড়া পাসপোর্ট বানাইতে গেসেন তো আপনি কট।অফিসের কর্মচারী,কর্মকর্তারা প্রতিটা পদে পদে আপনাকে হয়রানির করবে। কারন দালালের টাকার নির্দিষ্ট পার্সেন্টেজ প্রত্যেক কর্মকর্তা,কর্মচারীই পায়।আর, এক জেলার মানুষ হয়ে অন্য জেলার অফিসে পার্সপোর্ট বানাইতে গেলে তো সাথে সাথেই বলে দিবে, আপনার এটা এখানে হবে না,নিজ জেলায় গিয়ে করেন।(অথচ,আজকে কোনোরুপ টু শব্দ ছাড়া আমারটা করে দিলো)। মানে আগে ওদের চেছড়ামির লেবেল ছিলো এমন যে আপনি যতসব খুটিনাটি ডকুমেন্টস, সব সার্টিফিকেট জন্মসনদ,এনআইডি আপনার মা-বাবা, দাদা-দাদি সবার এনআইডি নিয়ে গিলেও কর্মরত লোকেরা আপনারে বলবে "যান আপনার বাবার বড় ভাইয়ের শশুরের এনআইডি নিয়ে আসেন"।মানে এমন এমন ডকুমেন্টস ওরা চাইবে যেন আপনাকে আটকিয়ে দিতে পারে।ঐ যে আপনার অপরাধ একটাই কেন দালাল ছাড়া করলেন।

যাক অবশেষে আজকে পাসপোর্ট অফিসে কোনো হয়রানি ছাড়াই সব আনুষ্ঠানিকতা সেরে আসলাম(তবে মানুষের দীর্ঘ লাইন ছিলো)।এখন পুলিশ ভেরিফিকেশনের পালা,পুলিশ ভেরিফিকেশনেও কোনো টাকা লাগবে না এখন,বাহ!(আগে যেখানে ৫০০/১০০০ পুলিশকে চা খাওয়ার জন্য দেওয়া লাগতো)।

পরিবর্তন অলরেডি শুরু হয়ে গেছে,এই পরিবর্তন চিরস্থায়ী করতে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।আমারা আশাবাদী স্বাধীন বাংলাদেশে সকল সরকারি বেসরকারি কাজে মানুষের হয়রানি, সকল অনিয়ম, দুর্নীতি চিরতরে বন্ধ হবে। আর যেখানে অনিয়ম, দুর্নীতি দেখবেন সেখানেই আওয়াজ তুলবেন, দেখবেন আপনি একা না।         

বাইদ্যাওয়ে,যারা এখনো পাসপোর্ট করেন নাই, ঝামেলা বিহীন ভাবে কইরা ফেলেন।৪৮ পেইজ, দশ বছর মেয়াদ,রেগুলার ডেলিভারি,

খরচ টোটাল = ৫৭৫০ টাকা + বিকাশে দিলে ১৩ টাকা ভ্যাট।