উদোম গায়ে বালুতটে বসে ঢেউ দেখি,
সমুদ্র মাতাল হয়ে আছড়ে পড়ে পায়ে,
আমার হাত বালির ভেতর কবর খুঁড়তে থাকে
কোথাকার কোন এক ঘাসফড়িং এর জন্য;
একবার স্বপ্নে দেখেছিলাম কোমল ঘাসের ভেতর
ভারি অস্থির ওই ফড়িং মাতাল ছিল!
আমি মদ খাই না;
মাতাল হই কোন রমণীর চোখে,
কারো ঠোঁটে, কারোর গলায়, ঘাড়ে চুম্বন করে আমি মাতাল হই;
একজনের গলা শেষ করে আরেকজনের স্তন চেপে,
কারো সঙ্গে আদিম মানবের মতো নিষ্ঠুর হয়ে,
কিংবা কোমল বেড়ালের মতো আদুরে হয়ে
আমি মাতাল হই;
তারপর শুনি পাখিরা ডাকছে,
কখন জানি ভোর হয়ে গেছে!
মাতাল হইনি কখনো তাই পাখির গান শুনতে পেয়েছি!
কখনো শরীরে প্রেমের মত্ততায় কিংবা কোন এক উদাস আকাশ দেখে
আমি মাতাল হই;
ঘুম ভেঙে গেলে কোত্থেকে এক মাতাল কাক এসে বলে,
"সমুদ্রতীরে হারাবার কিছু নেই বরং সবকিছু নিয়ে যাক সে, যা কিছু"
একটা ফাঁকা শরীর নিয়ে পড়ে থাকি,
কাকড়ার আনাগোনা আমার ভেতর সভ্যতা হয়!
আমি তো মাতাল হই নি কোনোদিন।