আগে দেখিনি কখনো,
কে জানি কার কাছে
ফিসফিস করে বলেছে,
“এই সেই নদী!”
সূর্যোদয়ের দেরি নেই আর বেশি,
ভোরের আকাশে সারাদিনের গল্প লেখা
এইসব মেঘে;
দূরের এক কুটিরে
এক বৃদ্ধা জাদুকরী দাঁড়িয়ে উঠানে,
একা;
চোখ দেখেছি তার, কেমন তীব্র বিষাদ মাখা;
এইসব মেঘেরা একদিন এসে নিয়ে গিয়েছিল
কুটিরের আর সবাইকে,
ফিরে আসেনি আর তারা কোনোদিন;
কী একটা শহর যেন,
শহরের গা থেকে মানুষগুলো সব
উড়ে উড়ে যায় তুলোর মতো;
কয়েকজন ঘুরে বেড়ায় উদ্ভ্রান্ত,
কবর খোঁড়ার দায়িত্ব নিয়ে;
শস্যক্ষেত্র আর বাথান,
এই প্রান্তর তাই গ্রাম;
অতিথিরা সব বিদায় নিয়েছে
গত রাতেই;
অরণ্যের গায়ে আগুন জ্বালিয়ে
এক খণ্ড অবসর পায় তামাক সেবনের।
নদী তাই পণ করেছে, “জল দেবো না আর।”
সেই নদীর ধারে দাঁড়িয়ে
আকাশ দেখি,
এই প্রান্তর আর এক দিগন্ত ঘামের ওপারে নাকি
এক অরণ্য আছে;
নীল আকাশ দেখা যায়
এই নদীর উজানে,
মেঘ বালিকার মেয়েটি নাকি সেখানেই থাকে!
যতোটুকু পারি আকাশ আনবো বলে কথা দিয়েছি জোনাকিদের,
নদীর ঘোলা জল গায়ে মাখতে দ্বিধা নেই আর।