ত্বকের যে সকল সমস্যা বেশি দেখা যায় তার মাঝে অন্যতম হলো মেছতা।এটি ছেলে মেয়ে উভয়ের হতে পারে তবে তুলনামূলক মেয়েদের বেশি হয়। সাধারনত ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সি মেয়েদের হয়ে থাকে।
↘️মেছতা কি?
আমাদের ত্বকের নিচে মেলানিন নামক এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ থাকে।কোন কারনে ত্বকের বিশেষ জায়গায় এটির কার্যক্ষমতা বেশি হলে ত্বকের সেই অংশটি অন্য অংশের চেয়ে বেশি গাঢ় হয়ে যায়। ফলে ঐ অংশটি কালো বা বাদামী থেকে হালকা বাদামী দেখায়। একে মেছতা বলে। এটি খারাপ কিছুই নয় শুধুমাত্র এটি একটাই ক্ষতি করে সেটা হলো সৌন্দর্যহানি।
↘️মেছতার উপসর্গ কি?
মেছতা শরীরের যে কোন জায়গায় হতে পারে। তবে যেসব জায়গায় সূর্যের আলো বেশি পড়ে ঐসব জায়গায় বেশি হয়। মেছতা কালো বা বাদামী রঙের ছোপ বিশেষ করে, গালে, নাকের উপরে, আমি থুতনিতে, ঠোঁটের উপরের অংশে, গলায়, ঘাড়ে এমনকি হাতেও হতে পারে।
↘️মেছতা কত প্রকার?
মেছতা দুই রকম হতে পারে।
১. ইপিডারমাল হাইপার প্রিভেন্ডেশন।
২. ডারমাল হাইপার প্রিভেন্ডেশন।
↘️মেছতা হওয়ার কারনসমূহঃ
১. প্রোটেকশন ছাড়া অর্থাৎ সানস্ক্রিন বা ছাতা ছাড়া অতিরিক্ত সূর্যের আলোতে গেলে এটি হয়। সূর্যের আলোই এটি হওয়ার প্রধান কারন হিসেবে ধরা হয়।
২. হরমোনের তারতম্য হলে। যেমন, গর্ভাবস্থায় এটি হয়ে থাকে।
৩. হরমোন ঔষধ ব্যবহার করলে বা হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নিলে।
৪. জন্মনিয়ন্ত্রন পিল খেলে।
৫. থাইরয়েড হরমোনের তারতম্য ঘটলে।
৬. বংশগত কারনে।
৭. ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার না করলে।
↘️মেছতা হলে করনীয় কি?
মেছতা পুরোপুরি প্রতিকার করা সম্ভব হয় না। তবে অবস্থার উন্নতি করা যায়। মেছতা হলে প্রথমেই একজন ভালো ডার্মাটোলজিস্টকে দেখাতে হবে।
মেসতার জন্য তারা বিভিন্ন ধরনের মেডিসিন, ক্রিম, জেল, সানস্ক্রিন, ক্যামিকেল পিল বা বিভিন্ন ধরনের ট্রিটমেন্ট সাজেস্ট করে থাকে।
↘️মেছতা প্রতিরোধের উপায় কি?
বলা হয়ে থাকে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম।তাই মেছতা হওয়ার আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে মেছতা না হয়।
১. সানস্ক্রিন ছাড়া একদমই রোদে বের হবেন না। সানস্ক্রিন এক্ষেত্রে মাস্ট। রিপিট মাস্ট মাস্ট মাস্ট। ফুল প্রোটেকশন দেয় এমন একটি সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন।
⭕বাইরে যাওয়ার কমপক্ষে ২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লাগাতে হবে এবং ২ ঘন্টা পর পর রিএপ্লাই করতে হবে। বাসায় থাকলে ২.৫-৩ ঘন্টা পর রিএপ্লাই করলে হবে।
২. ছাতা, ওড়না বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন। কেননা কোন সানস্ক্রিনই ১০০ ভাগ প্রোটেকশন দেয় না। তাই সানস্ক্রিন লাগানোর পরও এগুলো ব্যবহার করুন।
৩. সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত প্রয়োজন না হলে বাহিরে যাবেন না। গেলেও প্রোপার প্রোটেকশন নিয়ে যাবেন।
৪. ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার করবেন আর বেসিক কেয়ার ঠিকমতো করবেন।
৫. জন্মনিয়ন্ত্রন পিল না খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
৬. চিনি ও ঝালজাতীয় খাবার সীমিত পরিমানে খাবেন।
৭. বেশি করে পানি ও ফলমূল খাবেন।
🍂মেছতার জন্য কিছু সিরামঃ
☘️Sesderma Azelac Ru Facial Serum.
☘️Paula's Choice 10% Azelaic Acid Booster.
☘️The Ordinary Azelaic Acid Serum.
☘️Revolution 3% vitamin C Serum.
☘️Dermalogica Powerbright Dark Spot Serum.
☘️CeraVe Resurfacing Retinol Serum.
☘️The Inkey List Tranexamic Acid Hyperpigmentation Treatment.
☘️Paula's Choice Clinical Discoloration Repair Serum.
⚠️সতর্কতা ⚠️
১. বেসিক কেয়ার না করে সিরাম ব্যবহার করা যাবেনা।
২. দিনের বেলা অবশ্যই সানস্ক্রিন ঠিকমতো ব্যবহার করতে হবে।
৩. কমপক্ষে ৩/৪ মাস বেসিক কেয়ার করে তারপর সিরাম এড করতে হবে।
৪. সিরাম ব্যবহার এর ক্ষেত্রে শুরুতে কম পার্সেন্ট দিয়ে শুরু করতে হবে।
৫. ভালো ফলাফল পেতে লিস্টের সিরামগুলো এড করার আগে ভিটামিন সি যুক্ত সিরাম ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
৬. রেটিনল যুক্ত সিরাম ২৫ বছরের পূর্বে ব্যবহার করা যাবেনা।