কবিতা-রাত্রি ভয়ংকর
কর্মক্লান্ত শরীর,
কোলাহল চারিদিক!
কোথাও নেই কোনো নিরবতা!
পিপাসার্ত বিশ্রাম প্রয়োজন,
বেশ,বুঝিতে পারি।
দিনের তন্দ্রাভাব,
তবু তীব্র ক্ষুধার্ত গ্রাস করে মানবকূল!
মর্ত্যের মায়াবী রাত্রির হাতছানি!
খোলা জানালা,
শান্ত হিমেল হাওয়া,
রাতজাগা পূর্ণিমা চাঁদ,
আকাশভরা তারা!
কত আনন্দ-পাপ,কষ্ট-ক্লেশ!
প্রেমের আলিঙ্গনে মাতোয়ারা ধরার রাত্রি!
নব ঊষা,নব রবি,
ঝলমলে সোনালী দিন!
তবুও প্রতীক্ষার প্রহর,
মায়াবী রাত্রি যেন অবশ্যম্ভাবী!
যতদিন দেহে প্রাণ,
ততবাড়ে এ ক্ষণিকের আয়োজন!
গাফেল হয়ে যায়-
অপেক্ষমাণ এক ভয়ংকর রাত্রি!
ধরা কে আঁকড়ে ধরি-
কজনই বা নেয় সে রাত্রির প্রস্তুতি!
ভাবেই বা কজন?
কেবলই এড়িয়ে যাবার ছলনা,
অবশেষে নাম তার বিফল!
সে রাত্রি!
না থাকে আকাশ,
না বহে বাতাস!
তিমির অমাবস্যার ভয়ংকর নির্বাসনে-
চলে কঠিন এক হিসাব!
যাত্রী শুধু আমি,
সঙ্গী আমার আমল!
যদি মর্ত্যের ঝলকানি,
ভুলিয়ে দেয় কবরের আযাব সত্য!
তবে সে রাত্রির পর-
কস্মিনকালেও উঠিবে না সূর্য,
না উঠিবে চন্দ্র!
নিঃশ্বাসে প্রবাহিত নরকের অগ্নি!
সময় ফিরিয়া আসে না,
ভাবনার সময় কি হইবে না!
কি চাই আমি?
ইহকাল নাকি পরকালে-
নির্ঝঞ্ঝাট প্রশান্তময় রাত্রিতে সুপ্তি!