পোস্টস

প্রবন্ধ

কি করে আপনার স্কিন টাইপ নির্ধারন করবেন?

২৮ আগস্ট ২০২৪

চারুলতা

🌹🌹বেসিক কেয়ার সঠিকভাবে করতে হলে স্কিন টাইপ জানাটা জরুরি ৷ আজকে বিভিন্ন ধরনের স্কিনটাইপ নিয়ে ধারনা দেয়ার চেষ্টা করবো ৷

 

🎀 স্কিন টাইপ মেইনলি ৪ ধরনের আছে ৷
১/অয়েলি স্কিন , ২/ড্রাই স্কিন , ৩/কম্বিনেশন স্কিন , ৪/নরমাল স্কিন ৷
এর বাহিরেও সেন্সিটিভ, ডিহাইড্রেটেড, ড্যামেজড, ম্যাচিউর স্কিন রয়েছে ৷ তবে এগুলো ওই ৪ ধরনের টাইপের ভেতরেই ৷

 

🥀 ২ ধরনের পদ্ধতি ফলো করে স্কিনটাইপ চেক করতে পারেন ৷
১. টিস্যু মেথড
২. ফেইসওয়াশ মেথড

 

🍁🍁টিস্যু মেথড ফলো করে স্কিনটাইপ বোঝার উপায় :
= এই মেথড তারাই ফলো করবেন যাদের কাছে কোনো মাইল্ড ফেইসওয়াশ নেই ৷ মাইল্ড ফেইসওয়াশ থাকলে ২নং মেথড টা ফলো করবেন ৷
মুখ প্রথমে পানি দিয়ে ভালোকরে ক্লিন করে নিয়ে পানি মুছে ফেলবেন ৷ তার ৪০-৪৫ মিনিট পরে চেক করবেন ৷ এর মাঝে আর কিছু ইউজ করবেন না ৷

 

   🔴 যেভাবে টেস্ট করবেন :
পাতলা ফেসিয়াল টিস্যু নিবেন ৷ ২ পার্টে থাকে সাধারনত টিস্যু, সেটার ১ পার্ট নিবেন ৷ তারপরে সেটাকে ছোট কয়েক ভাগে ভাগ করে  গালে,চিবুকে,নাকে,কপালে লাগাবেন ৷ পুরো এরিয়া কভার করে লাগাবেন ৷

 

♦ লাগানোর সাথে সাথে যদি পুরো মুখের টিস্যুই পড়ে যায় বা লাগানোই না যায় , তাহলে সেটা ড্রাই স্কিন বুঝতে হবে ৷ ড্রাই স্কিন টান টান লাগবে অনেক

 

♦ গালে না লেগে যদি বাকি অংশে মানে নাকে,কপালে,চিবুকে অর্থাৎ টি-জোনে লেগে থাকে তাহলে বুঝতে হবে সেটা কম্বিনেশন স্কিন ৷

 

♦ টিস্যু বসানোর একটু পরেই যদি সব পড়ে যায় আর সারাদিন স্কিন অয়েলি ও না আবার ড্রাই ও না মনেহয় , তাহলে সেটা হবে নরমাল স্কিন ৷

 

♦ টিস্যু যদি পুরো মুখে বেশ কিছুক্ষন ই থাকে আর সারাদিন স্কিন চিটচিটে মনে হয় , তাহলে সেটা অয়েলি স্কিন ৷

 

🍁🍁 ফেইসওয়াশ মেথড ফলো করে স্কিনটাইপ বোঝার উপায় :
= এই মেথডে সহজেই স্কিন টাইপ চেক করা যায় ৷ হাত ভালোকরে ক্লিন করে মাইল্ড ফেইসওয়াশ নিয়ে তাতে পানি মিক্স করে ফেনা তৈরি করে ফেইস ধুয়ে নিবেন ৷ তারপরে ভালোকরে শুকিয়া নিবেন ৷


🚫 অয়েল কন্ট্রোলকারী ফেইসওয়াশ ইউজ করে টেস্ট যাবেনা ৷ তাহলে এক্সাক্ট রেজাল্ট পাবেন না ৷

 

    🔴 যেভাবে টেস্ট করবেন :
ফেইসওয়াশ করে ৩০ মিনিট ওয়েট করবেন ৷ এর মাঝে আর কিছু ইউজ করবেন না ৷


৩০ মিনিট পরে যেভাবে বুঝবেন স্কিন টাইপ :

♦ পুরো ফেইসে শাইনি ভাব থাকলে আর ফেইস চিটচিটে লাগলে বুঝতে হবে অয়েলি স্কিন ৷ হাত দিয়ে ধরলে হাতে অয়েল আসবে ৷

 

♦ পুরো ফেইস টান টান লাগলে আর রুক্ষ লাগলে বুঝতে হবে সেটা ড্রাই স্কিন ৷ ত্বক একদমই শুষ্ক থাকবে।

♦ টি-জোন অয়েলি আর বাকি অংশ ড্রাই থাকলে কম্বিনেশন স্কিন ৷ আবার টি-জোন ড্রাই কিন্তু গাল অয়েলি থাকলে কম্বিনেশন স্কিন বুঝতে হবে ৷

 

♦ উপরের কোনো লক্ষন ই না মিলে গেলে আর ফেইস স্বাভাবিক মনে হলে অর্থাৎ অয়েলি ও না আবার ড্রাই ও না , এমন হলে নরমাল স্কিন ৷

 

🍁🍁 একটা কমন প্রশ্ন আছে যে , একেক সময় একেক স্কিন টাইপ থাকলে কোনটা ফলো করবো!
= একজনের একাধিক স্কিন টাইপ থাকতে পারে ৷ শীতে ড্রাই থাকে আবার গরমে অয়েলি বা কম্বিনেশন হলে যখন যেই টাইপ থাকবে সেই স্কিনকেয়ার রুটিন ই ফলো করতে হবে ৷

 

🎀 এবার আরো কিছু স্কিনের ধরন নিয়ে বলার ট্রাই করবো ৷

🍁 সেন্সিটিভ স্কিন : যাদের ত্বকে যেকোনো প্রোডাক্ট সহজেই স্যুট করেনা এবং স্কিনে রিঅ্যাক্ট করে খুব ফাস্ট তাদের ই বলা হয় সেন্সিটিভ স্কিনের অধিকারী ৷ এদের কোনো প্রোডাক্ট ইউজ করার আগে প্যাচ টেস্ট করা জরুরি ৷ এখন কার কোন প্রোডাক্ট স্যুট করবেনা সেটা বলা পসিবল না ৷ স্যুট করবে কিনা সেটা ইউজ করে বুঝতে হবে ৷

 

🍁 ড্যামেজ স্কিন : যারা বিভিন্ন ক্ষতিকারক নন ব্রান্ডেড নাইট ক্রিম, স্ক্রাব, হোমমেড রেমেডি (লেবু,চালের-ডালের গুড়া, কফি), ব্লিচ, ফেসিয়াল, বয়সের আগে নিয়ম না মেনে সিরাম ইউজ করেন তাদের স্কিন ড্যামেজ হয়ে যায় ৷ ফলে স্কিন পাতলা হয়ে যায়, জ্বলে, লাল হয়ে যায়, রোদে গেলে গরম হয়ে যায়, বাম্পস, পিম্পল কমেনা ইত্যাদি ৷

 

🍁 ম্যাচিউর স্কিন : যাদের বয়স ২৫+ তাদের স্কিনকে বলা হয় ম্যাচিউর স্কিন ৷ বয়স ২৫+ হওয়ার পর থেকে স্কিনের বাড়তি যত্ন দরকার হয় ৷ রেটিনল , পিলিং সিরাম, হাইড্রো কুইনাইন ইত্যাদি সমস্যা ভেদে ইউজ করতে হয় ৷

 

🍁 ডিহাইড্রেটেড স্কিন : পানি বা তরল জাতীয় খাবার কম খেলে, স্কিনের দরকারী ময়েশ্চারাইজিং উপাদান না ইউজ করলে, হার্শ উপাদান ইউজ করলে, ওভার এক্সফলিয়েট করলে ইত্যাদি কারনে ত্বক ডিহাইড্রেটেড হতে পারে ৷ স্কিন ডিহাইড্রেটেড হলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায় বা অতিরিক্ত অয়েলি হয়ে যায় ৷