পোস্টস

চিন্তা

বন্যা: দুই পদক্ষেপে ‘সমাধান’

৩১ আগস্ট ২০২৪

রফিকুল ইসলাম কামাল

এক.
দুর্যোগময় এক সময় পার করছে বাংলাদেশ। ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক আন্দোলনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে থিতু হতে না হতেই ভয়াল বন্যার কবলে দেশের বড় একটি অংশ। হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি তো হয়েছেই, সঙ্গে নিভে গেছে কতোগুলো তাজা প্রাণ। কী যে দুঃসহ!
প্রায় প্রতি বছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগ এসে হানা দেয় বাংলাদেশে। বিশেষ করে বন্যা প্রত্যেক বছরই দেশের কোথাও না কোথাও সংঘটিত হচ্ছে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অবিশ্বাস্য। বাংলাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশের জন্য বন্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে মারাত্মক বিপদের। ২০২০ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত সে বছরের বন্যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৯৭২ কোটি ৭৪ লাখ ৬২ হাজার ৭৬ টাকা। ২০২২ সালে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৮৬ হাজার ৮১১ কোটি ৬৫ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭২ টাকা! এ বছর সিলেট অঞ্চলে অন্তত তিন দফা বন্যা হয়েছে। এবার ফেনী, কুমিল্লা, খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন জেলায় যে ভয়াবহ বন্যা দেখা গেছে, এর ক্ষয়ক্ষতি যে কোথায় গিয়ে ঠেকবে, সৃষ্টিকর্তাই জানেন!

ভূ-প্রকৃতিগতভাবে বাংলাদেশ এমন এক অবস্থানে আছে, যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোকে মেনে নিয়ে সামনে চলতে হবে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, কালবৈশাখী, তুফান এগুলো প্রতি বছর এখানে আসবে। এগুলো প্রতিরোধের ক্ষমতা মানুষের নেই। বন্যা পরিস্থিতি পুরোপুরি সমাধানের কোনো পথ নেই। তবে আমরা সচেতনতা বাড়াতে পারি, ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নিতে পারি। কিছু ক্ষেত্রে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে পারি।

বন্যা সমস্যার কিছুটা সমাধানে মোটা দাগে দুটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। এর একটি অভ্যন্তরীণ করণীয়, অপরটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে করণীয়।


দুই.
অভ্যন্তরীণ করণীয় তাহলে কী কী?

প্রথমত, বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ার পরপরই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে যারা কাজ করে, তাদেরকে জবাবদিহিতা, শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কোনো ছাড় দেওয়া চলবে না। তারা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। অফিসে যাওয়া, সময় কাটানো আর মাস শেষে বেতন গোনা, এভাবেই যেন অভ্যস্ত হয়ে গেছেন তারা। তাদেরকে শক্ত ঝাঁকুনি দিতে হবে।

আপনি চিন্তা করুন, দূরদেশে থাকা একজন মোস্তফা কামাল পাশা দিনরাত কাজ করে বাংলাদেশের মানুষকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে পারেন, সতর্ক করতে পারেন; অথচ দেশের কর্মকর্তারা নাক ডেকে ঘুমান। এবার যে ভয়াল বন্যার কবলে পড়তে হবে, অতিবৃষ্টি হবে, সেই পূর্বাভাস কিন্তু দিতে ব্যর্থ হয়েছে আমাদের আবহাওয়া অধিদপ্তর। সুতরাং, যোগ্য, দক্ষ, কর্মঠ, পরিশ্রমী, সৎ লোক দেখে আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং আবহাওয়া অফিসগুলোতে নিয়োগ দিতে হবে। সঙ্গে তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক।

দ্বিতীয়ত, আবহাওয়া অফিসগুলোকে আধুনিকায়ন করতে হবে। মান্ধাতার আমলের যতো যন্ত্রপাতি আছে, সব বাদ দিয়ে অত্যাধুনিক জিনিসপত্র সংযোজন জরুরি। ঢাকা, রংপুর, কক্সবাজার, পটুয়াখালী, ও মৌলভীবাজারে স্থাপিত বহু পুরনো পাঁচটি আবহাওয়া রাডারই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে! এভাবে তো চলতে পারে না।

তৃতীয়ত, প্রতিবেশী ভারতের আবহাওয়া মনিটরিং সিস্টেম বেশ উন্নত, অন্তত আমাদের চেয়ে বেশ ভালো। তাদের নদীর পানি মনিটরিং সিস্টেম আছে, যেটি প্রতি মুহূর্তে নদীর পানির প্রবাহ, পানির উচ্চতা সম্পর্কে আপডেট দেয়। বাংলাদেশেও এই সিস্টেম আছে। প্রয়োজনে সিস্টেমের আপগ্রেডেশন; প্রতি ১৫ মিনিট বা ৩০ মিনিটে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট তথ্য পাওয়ার সিস্টেমের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। দেশের প্রত্যেক অঞ্চলের বড় নদীগুলোকে এর আওতায় আনতে হবে। আধুনিক ওয়েবসাইট করে সেখানে যাতে প্রতি মুহূর্তের তথ্য হালনাগাদ হয়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

চতুর্থত, দেশে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিরাট একটা অংশ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পড়াশোন করছে, কাজ করছে। তাদেরকে কাজে লাগিয়ে অত্যাধুনিক অ্যাপ বানাতে হবে, যেখানে আবহাওয়ার প্রতি মুহূর্তের তথ্য আপডেট হবে। একইসাথে কোথাও তুমুল বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে, ফ্লাশ ফ্লাডের সম্ভাবনা থাকলে, অর্থাৎ আবহাওয়া চরম বিরূপ হতে পারে এমন আগাম তথ্য অটোমেটিক্যালি যাতে মানুষের ফোন নাম্বারে এসএমএসের মাধ্যমে চলে যায়, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে।

পঞ্চমত, সারাদেশে প্রত্যেকটা ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে তাদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এই টিম আবার একাধিক ভাগে থাকবে। কারো দায়িত্ব হবে মানুষকে উদ্ধার করা, কারো দায়িত্ব হবে নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থাপনা, কারো দায়িত্ব হবে প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থাপনা। সে অনুসারে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। প্রত্যেকটি ইউনিয়ন অবধি জরুরি উদ্ধারসামগ্রী যেমন নৌকা, চার্জলাইট, টর্চলাইট, দড়ি, হুইলচেয়ার, স্ট্রেচার, হ্যান্ডমাইক, রান্নাবান্নার জন্য বড় আকারের ডেগ, ইমার্জেন্সি চুলা, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ফার্সএইড বক্সসহ অত্যাবশকীয় জিনিসপত্র মজুত রাখতে হবে।

ষষ্ঠত, ভূমিখেকো, দখলদারদের কবলে পড়ে দেশের নদী, খাল, বিল, হাওর সব অবৈধ দখলে চলে গেছে। জরুরিভিত্তিতে সকল দখলদারদের উচ্ছেদ করতে হবে। শুধু উচ্ছেদই নয়, নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা জরুরি; খালগুলোর গতিপথ পরিষ্কার করতে হবে, ঠিক করতে হবে। নদী, খাল, বিলে বা কোনো জলাশয়ে যাতে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা না হয়, সেদিকে কঠোর নজরদারি করা উচিত। আমাদের পুকুরগুলোও বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

মনে রাখা উচিত, উজান থেকে ঢল আসবে, বৃষ্টি হবে প্রতি বছর। এজন্য পানি নেমে যাওয়ার পথ যাথে উন্মুক্ত থাকে, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। পানি নামার পথ বন্ধ হয়ে পড়া আমাদের বন্যার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে হাওরবাওর, পুকুর, খাল, বিল এগুলো প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে কাজ করে। বর্ষায় এগুলো পানি ধারণ করবে, বন্যা থেকে বাঁচাবে। কিন্তু এগুলোই যদি দখল হয়ে যায়, ভরাট হয়ে পড়ে, তখন পরিস্থিতি তো শোচনীয় হতে বাধ্য!

তিন.
এগুলো গেল আমাদের একান্ত নিজস্ব করণীয়। তবে নিজস্ব এসব করণীয় বাস্তবায়ন করে বসে থাকলে আবার চলবে না, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও কাজ করতে হবে। কারণ, বাংলাদেশের উজানে আছে ভারত। তাদের সঙ্গে আমাদের অভিন্ন নদীর সংখ্যা ৫৪টি। কিন্তু ভারতের সঙ্গে পানি ভাগাভাগি নিয়ে বাংলাদেশের দূরত্ব অনেক। এক তিস্তা নদীর পানিবন্টন চুক্তিই ঝুলে আছে বহু বছর ধরে। ২০১০ সালের মার্চে দিল্লিতে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) ৩৭তম বৈঠকে তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি নিয়ে ঐকমত্য হয়েছিল। কিন্তু সেই চুক্তি আজ অবধি স্বাক্ষরিত হয়নি।

আন্তর্জাতিক নদীর (একাধিক দেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদী) ক্ষেত্রে প্রত্যেক দেশের যে অধিকার আছে, সেটি কিন্তু বিশ্বস্বীকৃত। জাতিসংঘের পানিপ্রবাহ কনভেনশন ১৯৯৭ অনুসারে এমন অধিকার দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ তা অস্বীকার করে না, আবার সহযোগিতার হাতও প্রসারিত করছে না।

ভূগতভাবে বাংলাদেশ নিচুতে পড়ে গেছে। ফলে শুকনো মৌসুমে পানির জন্য ওই নদীগুলোর সঠিক প্রবাহের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। আবার বর্ষায় ভারত যাতে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে নদীমুখে দেওয়া বাঁধ খুলে না দেয়, সেই আশায় থাকতে হয়। বাঁধ খুলে দেওয়া মানে পানির স্রোতে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যায়। এবার যেমনটা দেখা গেছে ফেনী এলাকায়।

বাংলাদেশের ভারতের কেবল প্রতিবেশীই শুধু নয়, বন্ধুরাষ্ট্রও বটে। কিন্তু ভারত প্রতিবেশীর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে তো না-ই, সঙ্গে তোয়াক্কা করছে না আন্তর্জাতিক আইনও। ফলে বিভিন্ন নদীর অববাহিকায় তারা বাঁধ দিয়ে বসে আছে। ফারাক্কা বাঁধ, তিস্তা অববাহিকার বাঁধ, গজলডোবা, গোমতী নদীর উপরে ডম্বুর হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার প্রজেক্টসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীতে অন্তত ৩০ থেকে ৪০টি হাইড্রো ড্যাম নির্মাণ করেছে ভারত। অথচ আন্তঃসীমান্ত নদীতে কোনো অবস্থাতেই বাংলাদেশের অনুমতি ছাড়া তারা এ ধরনের কাজ করতে পারে না। আরেকটা দিকও আলোচনায় আসা দরকার, সবগুলো ড্যাম বা বাঁধ যে ভারত গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে দিয়েছে, তা নয়। বরঞ্চ অনেকগুলো ড্যাম যেন ‘অস্ত্র’ হিসেবে রাখা হয়েছে। গোমতী নদীর উপর যে ড্যাম আছে, সেটা থেকে মাত্র তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। এই যৎসামান্য বিদ্যুৎ দিয়ে কি করবে ভারত? কিইবা করা যায়? অথচ এই ড্যাম দিয়ে তারা পানি আটকে রাখে। আবার পানি যখন উপচেপড়া অবস্থায় যায়, হুট করে ড্যাম খুলে দেয় তারা। ভেসে যায় বাংলাদেশ। এবার ঠিক যেমনটা হয়েছে। এখানে বাংলাদেশের নিরাপত্তার বিষয়টি কিন্তু বড় আকারে চলে আসে যে ভারত চাইলে আচমকা ড্যামগুলোর গেইট খুলে দিয়ে বড় ক্ষতি করতে পারে।

ভারতের দায় তো অবশ্যই আছে। সঙ্গে আছে আমাদের দায়ও। যৌথ নদী কমিশন আছে, কিন্তু এটির বাংলাদেশ অংশের কর্তাব্যক্তিরা নদীগুলো নিয়ে সোচ্চার নন। তারা ভারতের সঙ্গে নেগোসিয়েশনটা অবধি করতে পারেননি। রাষ্ট্রীয় তরফ থেকেও ভারত বরাবরে যথাযথ উদ্বেগ জানাতে আমরা দেখিনি। ফলত ‘লাই’ পেয়ে ভারত অভিন্ন নদীর অববাহিকায় যা ইচ্ছা তা করছে।

বস্তুত ভারতের সঙ্গে জোরালোভাবে বাংলাদেশকে আলোচনায় বসতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে নদীগুলোর ওপর যে আমাদের অধিকার, সেটা আদায় করে নিতে হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন সরকার তথা রাষ্ট্রীয় তরফে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ। 

এবারের বন্যার পর আমরা কিছু আশাব্যঞ্জক পদক্ষেপ দেখছি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে কথা বলেছেন, উদ্বেগ জানিয়েছেন। অপরদিকে, ভারত যাতে হুটহাট পানি ছেড়ে না দেয়, সে ব্যাপারে দেশটিকে বার্তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

অভিন্ন নদীগুলোকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে আমাদের যে সমস্যা কিংবা দূরত্ব, এগুলো রাতারাতি সমাধান হবে না। এজন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা। ভারত যাতে উজানে বাঁধ দিতে না পারে, যেসব বাঁধ আছে সেগুলো যাতে বাংলাদেশকে না জানিয়ে খুলে দেওয়া না হয় এসব বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানে থেকে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে যে ক্ষতি হয়ে গেছে, সেখান থেকে এবার বেরিয়ে আসার পথ খোঁজা উচিত।

আন্তর্জাতিক ফোরামে নালিশ করার সুযোগ আছে বাংলাদেশের। ‘কনভেনশন অন বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটি’ ফোরাম আছে। রামসার কনভেনশন, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কনভেনশন, ইন্টারন্যাশনাল ওয়েটল্যান্ড কনভেনশনও আছে নালিশ করার জন্য। ভারতের হুটহাট পানি ছাড়া কিংবা একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহারের ফলে আমাদের জীববৈচিত্র্য কিভাবে হুমকির মুখে পড়ছে, ভাটিতে বন্যার ভয়ালতা, বন্য প্রাণী ও তাদের আবাসের ক্ষতি, বনাঞ্চলের ধ্বংস, লবণাক্ততা বেড়ে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি, স্বাদু পানির মাছের আবাসস্থল নষ্ট হওয়া প্রভৃতি নানা বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক ফোরামে কথা বলতে পারবে বাংলাদেশ। কিন্তু, এ পথ মাড়ানো এখনই উচিত নয়। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সাথে আমাদের পারস্পরিক মর্যাদা বজায় রেখে চলতে হবে। সম্পর্কে তিক্ততা এনে নয়, বরঞ্চ আলোচনায় সমাধান খোঁজে সম্পর্কের হৃদ্যতা আরও বাড়াতে হবে।

*লেখক: সাংবাদিক ও ক্রীড়ালেখক।

(লেখাটি সর্বপ্রথম সিলেটের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক সিলেট মিরর- এর প্রকাশিত)