পোস্টস

নিউজ

ম্যালকম এক্সের কারাকক্ষ এখন লাইব্রেরি

৩১ আগস্ট ২০২৪

নিউজ ফ্যাক্টরি

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা ম্যালকম এক্সকে যে কারাকক্ষে রাখা হয়েছিল, তা লাইব্রেরিতে পরিণত করা হয়েছে। ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের নরফোক কারাগারে ১৯৪০ এর দশকে বন্দী ছিলেন তিনি। 

২০২১ সালের ডিসেম্বরে এমসিআই নরফোক কারাগারের একটি কক্ষে লাইব্রেরিটির উদ্বোধন করা হয়। এই কক্ষেই ম্যালকম এক্স বন্দী ছিলেন বলে ধারণা করা হয়।

কবি, আইনজীবী রেজিনাল্ড ডোয়াইন বেটসের উদ্যোগে বন্দীদের জন্য এই লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কারাগারে ১ হাজার লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেছেন। তার দাতব্য প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম রিডসের মাধ্যমে এই মাইক্রো-লাইব্রেরিগুলো তৈরি করা হবে।  

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে বেটস ৬ লাখ ২৫ হাজার ডলার মূল্যের ম্যাকআর্থার ফেলোশিপ অর্জন করেন। কারাগারে লাইব্রেরি স্থাপনের জন্য তিনি এই অর্থ ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই লাইব্রেরিগুলোর নাম দেয়া হয়েছে ‘ফ্রিডম লাইব্রেরি’।

বেটস নিজেও ৯ বছর কারাগারে বন্দী ছিলেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে গাড়ি চুরির অপরাধে তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়। কারাজীবনের বেশিরভাগ সময় বই পড়ে কাটিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন এই কবি।

নতুন এই লাইব্রেরিতে ফিকশন, নন ফিকশনসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর বই রাখা হয়েছে। এখানে ম্যালকম এক্সের আত্মজীবনী থেকে শুরু করে চার্লস ডিকেন্স, জন স্টাইনবেকের মত বিখ্যাত লেখকের পাশাপাশি সমসাময়িক লেখকদের বইও পাওয়া যাবে।    

ম্যালকম এক্স তার আত্মজীবনীতে নরফোক কারাগারের লাইব্রেরিতে ঘন্টার পর ঘন্টা বই পড়ে কাটানোর কাহিনী বর্ণনা করেছেন। এখন তার কারাকক্ষটিই লাইব্রেরিতে রূপান্তরিত হয়েছে।  

উল্লেখ্য, ম্যালকম এক্স বা মালিক আল-শাবাজ আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকার কর্মী ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সিভিল রাইটস মুভমেন্টের (১৯৫৪-১৯৬৮) গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন তিনি। কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষমতায়নের ব্যাপারেও সোচ্চার ছিলেন। ১৯৬৫ সালে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন ম্যালকম এক্স। কিন্তু তার প্রভাব আজো মুছে যায়নি। ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী আফ্রো-আমেরিকান ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাকে। তার জীবন নিয়ে যেমন অসংখ্য বই লেখা হয়েছে, তেমনি তাকে নিয়ে বানানো হয়েছে অনেক চলচ্চিত্র এবং তথ্যচিত্র। ১৯৯২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ম্যালকম এক্স’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন হলিউডের প্রভাবশালী নায়ক ডেনজেল ওয়াশিংটন।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান