ভারত আমাদের বন্ধু দেশ
নাকি শত্রু দেশ.
বন্ধু শব্দটি সাথে আমরা সবাই পরিচিত,মানুষ একজন আরেকজনের সাথে অল্প সময়ের বন্ধু হয়ে উঠে,কিন্তু এক রাষ্ট্র সাথে অন্য রাষ্ট্র বন্ধু হওয়াটা সহজ ব্যাপার না,রাষ্ট্রে বন্ধুত্ব পিছনে থাকে অনেক বড় ষড়যন্ত্র. মানুষের বন্ধুত্ব স্বার্থহীন, তার প্রমান থাকবে হাজার হাজার বন্ধুর উদাহরণ, যারা নিজের জীবন বন্ধু জন্য উজাড় করেছেন,কিন্তু রাষ্ট্রের বন্ধুত্ব এমন উদাহরণ বিরল,কেউ স্বার্থ ছাড়া রাষ্ট্রে সাথে বন্ধুত্ব করে না.
একটি রাষ্ট্র যখন জন্ম হয় তখনই তার বন্ধু নির্বাচন হয়ে যায়,রাষ্ট্রে মূলত শত্রু মিত্র তৈরি.
আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ,আপনি একজন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র থেকে জিজ্ঞেস করুন বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র কোনটি?উত্তর হবে ভারত।কারণ ২০০৯ থেকে শিক্ষা ব্যবস্থা এমন তৈরি করা হয়েছে আসল ইতিহাস কি তার কোনো ধারনা নেই,১৯৭১সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ সময় ভারতের ভূমিকা ছিল অসীম,ভারত যদি তখন বাংলাদেশরে সহায়তা না করতো আজ হয়তো এই দেশের নাম থাকতো পূর্ব পাকিস্তান!এখন একজন বুদ্ধি মানের প্রশ্ন এটাই হবে বিনা স্বার্থে ভারত কেনো বাংলাদেশরে সহায়তা করছে?অবশ্যই বোকারা জবাব দিবে বাংলাদেশ আর ভারত বন্ধু তাই!কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল করলে দেখা যায়,বাংলাদেশকে সহায়তা করার পিছনে ইন্ধিরা গান্ধী তার দেশের নিঃস্বার্থ কথা ভেবেছে,এমন না তারা সব কিছু বাংলাদেশে জন্য করেছে,পাকিস্তানের সাথে ভারতের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিল অনেক খারাপ,তাই ভারতের প্রথম হাতিয়ার ছিল বাংলাদেশ কে জিতিয়ে পাকিস্তানকে দূর্বল করানো.ভারত ও পাকিস্তান মধ্যে মূলত দ্বন্দ্ব হয় কাশ্মীর নিয়ে.ভারত যখন জানতে পারে পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্ব হচ্ছে তখনই ভারত পূর্ব পাকিস্তানের পাশে দাড়াই,এটা তারা তাদের স্বার্থে জন্য করেছে আর বর্তমানের কথা তুলে ধরে আমরা যে তাদের বন্ধু ভাবি সেটাই আমাদের বড় ভুল,
আমরা জানি বাংলাদেশে যুদ্ধ স্থায়ী হয় ৯মাস,ভারত এই যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করে ১৭দিন,,অর্থাৎ নভেম্বর -ডিসেম্বরে ভারত যুদ্ধ নামে,কথা হচ্ছে ভারত যদি বাংলাদেশকে মিত্র মনে করতো ১৯৫২ সাল থেকে তাদের সহায়তা করতো,,যাক সামনে আরো এমন কিছু তথ্য দিতে চাচ্ছি যেটা দিয়ে আপনার বুঝতে অসুবিধা হবে না ভারত বাংলাদেশের বন্ধু নাকি শত্রু.যে ১৭দিন যুদ্ধ হয়েছিল ভারত পাকিস্তানের তা মূলত কাশ্মীর কে কেন্দ্র করে,আর তারা এখানে বাংলাদেশের মানুষকে ব্যবহার করে এই যুদ্ধ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ বলেছিল,,এখন অনেকটা স্পষ্ট করে বিভিন্ন মাধ্যমে লেখা থাকে এটা কাশ্মীর যুদ্ধ.
১৯৭১ যুদ্ধের পর থেকে বাঙালি জাতি মস্তিষ্ক তারাই সেট করে দিয়েছে তাদের ছাড়া বাঙালি কখনো যুদ্ধ জিততে পারতো না..এরকম হলে উর্দু বাদে বাংলা কেমনে রাষ্ট্র ভাষা হয়?এবার অতীত বাদ দেওয়া যাক,কিছু বছর ধরে ভারতের এমন কিছু কান্ড আমাদের ভাবতে অবাক করবে তারা কেমন মিত্র?
বাংলাদেশ ভারতকে কি দিয়েছে?ভারত থেকে কি পেয়েছে----
ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ভারতের সাথে বাংলাদেশের অন্তত ২০ টি চুক্তি ও ৬৬ টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে(BBC News)
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণায় মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ভারতকে ব্যবহার করতে দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল মুক্ত আঞ্চলিক পরিসর তৈরি করা। তার মানে শুধু ভারত নয়; নেপাল, ভুটানসহ সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সবার যোগাযোগ তৈরি হবে। কিন্তু নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে কি আমরা যথেষ্ট পরিমাণ যোগাযোগ করতে পেরেছি? সেটি হচ্ছে না বলে মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছে।(প্রথম আলো থেকে পাওয়া)
ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে আদানি গ্রুপকে বাড়তি সুবিধা দেয়া, বেশি খরচ, ক্যাপাসিটি চার্জের মতো দিকগুলোও দেশের স্বার্থবিরোধী হিসেবে দেখেন অনেকে।
এছাড়া রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়েও ছিল সমালোচনা।
জুন মাসে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের রেল করিডোর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক তুলকালাম চলে.
তিস্তার চুক্তি ২০১১ সালে প্রস্তুত হলেও তা স্বাক্ষর হয়নি।তিস্তা বা ফারাক্কার মতো ইস্যু, সীমান্ত হত্যা অথবা নেপাল-ভুটানের সাথে সরাসরি যান চলাচলের মত অনেক বিষয়ে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা হয়নি বলে মনে করেন অনেকে।
৩০বছরের চুক্তি,,গঙ্গা ও ফারাক্কা পানি বন্টনে চুক্তি ছিল,অবশেষে তা শেষ হবে ২০২৬ সালে,কিন্তু এই ৩০বছর তারাও নিজের সুবিধা মতো যখন মন চাইতো বাধঁ খুলতো,যখন মন চাই বন্ধ রাখতো,,যখন কড়া রোদে কৃষকের একটু পানি জন্য হাহাকার করে, নদী শুকিয়ে খাল হতে শুরু করে,মাটি ফাটন শুরু হয়,খরা দেখা দেয় তখন তারা বাঁধ গুলো বন্ধ করে,হাজার বার নোটিশ দেওয়া পর ও খুলে না এতে নষ্ট হয় হাজার হাজার জমি ফসল।
নদী চলবে আপন গতিতে,তাকে কেউ ধরে বেঁধে রাখতে পারবে না,এমনই হওয়ার তো কথা তাহলে সেখানে বাধঁ দিলো কিভাবে,অবশ্যই নিজের দেশ আগে,যখন বন্যা হচ্ছে বাঁধ খুলে দিবে বিষয়টা স্বাভাবিক.কিন্তু অন্তত ২৪ঘন্টায় না হোক ১২ঘন্টা আগে তো বিষয়টা জানানো দরকার,যাতে জানমাল নিয়ে জনগণ নিরাপদে যেতে পারে.কিন্তু এমন বিষয় তারা জানাই নি,বিশেষ করে এবারের বন্যা রাজনৈতিক বন্যা বলা হয়.
তাই তরুণ সমাজ এসব নিয়ে গবেষণা শুরু করে আর তাদের মধ্যে এখন একটাই ধারণা জন্ম নিয়েছে বন্ধু কখনো এমন হতে পারে না,তাই ভারত আমাদের বন্ধু না তারা কখনো আমাদের বন্ধু ছিল না,শুধু ভারত ই নই বরং যেকোনো দেশ স্বার্থছাড়া কখনো বন্ধুত্ব করে না,,যেকোনো রাষ্ট্রের নিজে সার্বভৌমত্ব,সম্পদ,জনগণকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে তাই তারা কখনো অন্যদেশ নিয়ে ভাবে না গুরুত্ব দেয় না,তারা শুধু একটি চুক্তিবদ্ধ থাকা জন্য বন্ধু হিসেবে পরিচয় দেই.
নিবিশেষে বলা যায় একটি রাষ্ট্র কখনো স্বার্থছাড়া বন্ধু হয় না,বন্ধু হলে ও একে অপরের মধ্যে থাকে চুক্তি,সমযোতা.যেটা একদেশে উপকার করে অন্যদেশের ক্ষতি.